ভাইকে বাঁচাতে বোনের বুকফাটা কান্না


প্রকাশিত: ০৪:০০ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৭

‘ও আমাদের কলিজার টুকরা। কোলে-পিঠে করে বড় করেছি। এত চঞ্চল ভাইটি আমার এভাবে নিথর দেহে পড়ে আছে! আহ! আর সইতে পারছি না। বুক ফেটে যাচ্ছে। আমার ভাইয়ের জন্য হাত তুলে দোয়া করুণ। আমাদের আদরের মানিক যেন ভালো হয়ে ফিরে আসে।’

শনিবার রাতে যখন সজীবের শারীরিক অবস্থা জানতে ফোনে কথা হচ্ছিল, তখন এভাবেই বুকফাটা আহাজারিতে বাতাস ভারি করে তুলছিলেন বোন সোমা। মুঠোফোনের ওপার থেকে দীর্ঘশ্বাস আর আর্তনাদের ধ্বনি যেন এপারে বারবার প্রতিধ্বনি হয়ে বাজছিল।

সজীব। কৈশোরের প্রাণ চাঞ্চলতা চোখে-মুখে এখনও। নামের সঙ্গে রূপেরও অপূর্ব মিল। সদা চঞ্চল সজীব আইডিয়াল স্কুল থেকে সবে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। ফল বেরুবে ক’দিন পরেই।

সেই কিশোর সজীব-ই নাকি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে! দুরন্ত সজীবের জীবনপ্রদীপ যেন অকালেই নিভু নিভু। ফিকে হয়ে আসছে তার জীবনের সজীবতা। যে সময়ে খেলার মাঠে বন্ধুদের নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ কথা, সেই সময়ে হাসপাতালের বিছানায় লেপ্টে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে সজীব।

ওর দু’টি কিডনিই ড্যামেজ (নিষ্ক্রিয়) হয়ে পড়েছে। ফুসফুস, লিভার এবং ব্রেইনও আর ঠিকমতো কাজ করছে না। চিকিৎসক বলেছেন, শতকরা ২০ ভাগ কাজ করছে সজীবের কিডনি দুটি।

গত সোমবার ভোরে অবস্থা গুরুতর হলে সজীবকে ধানমন্ডির ইউনিহেলথ নার্সিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পরপরই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। সেখান থেকে শনিবার রাতে নিয়ে আসা হয় গ্রিনরোডের রিলায়েন্স জেনারেল অ্যান্ড রেনাল হাসপাতালে

চার ভাইবোনের মধ্যে সজীবই সবার ছোট। বৃদ্ধ বাবা অনেকটাই বেকার। মা গত হয়েছেন ৯ মাস আগে। চিকিৎসকরা বলেছেন, সজীবের কিডনির চিকিৎসার জন্য ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার প্রয়োজন।

সজীবকে বাঁচাতে দিশেহারা ওর পরিবার। বড় ভাই আশিক জানান, ‘চোখে সরষে ফুল দেখছি। ভাইকে বাঁচাতে না পারলে, এ দুঃখ সইতে পারব না। মানুষ তো মানুষের জন্যই। সমাজের দশজন দয়াবান মানুষের সাহায্যে ভাইটি যদি আমাদের মাঝে ফিরে আসত, তাহলে আমরা নিজেরাও জীবন ফিরে পেতাম।

সজীবকে সাহায্য করতে পারেন যে কেউ। যোগাযোগ: সজীবের বড় ভাই- ০১৬৩০৫৪৬৩৮৪, বড় বোন- ০১৬৭২৩৩৩৫১৫
মাহফুজা আকতার সুমা, হিসাব নম্বর: ১১৮, ১০৩, ১৩৬৫২ ডাচ-বাংলা ব্যাংক।

এএসএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।