সব ক্লাসেই থাকবে গণহত্যার বিস্তারিত ইতিহাস
আগামী বছর থেকে স্কুল ও মাদরাসার সব ক্লাসেই ২৫ মার্চের গণহত্যার বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ‘রক্তাক্ত ২৫ মার্চ গণহত্যার ইতিবৃত্ত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা আগামী বছর থেকে প্রতিটি ক্লাসে ২৫ মার্চ বিষয়ে বিস্তারিত লিখে দেবো। প্রথমে ক্লাস ওয়ানে লিখবো ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে লিখবো ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু নির্বাচিত হওয়ার পরেও তাকে ক্ষমতা দেয়া হয়নি। তৃতীয় শ্রেণিতে লিখবো ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানিরা যে অত্যাচার করেছেন সেসব বিষয়ের বিবরণ। চতুর্থ শ্রেণিতে আরো একটু বেশি। ৫ম শ্রেণিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। পর্যায়ক্রমে সব ক্লাসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা হবে। এটা মাদরাসা হোক, কেজি স্কুল হোক আর প্রাইমারী হোক সব ক্লাসেই থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আগামী বছরের এই দিনে বিকেল চারটা ৩০ মিনিট থেকে ৩১ মিনিট পর্যন্ত (এক মিনিট) বিউগল বাজবে। কোনো গাড়ি চলবে না। মানুষ জানবে এটা গণহত্যা স্মরণে করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এই দিনে অফিস বন্ধ করে এক ঘণ্টা ২৫ মার্চ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে বলে আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানের এখন ৯ ডিসেম্বরকে জাতিসংঘ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করছে। এর পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। শুধুমাত্র জাতিসংঘের একটা রেজুলেশনকে সম্মান করেই সবাই দিবসটি পালন করছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে ৭১ এর গণহত্যার যতো ভিডিও আছে তা আমরা সব বিদেশি কূটনৈতিকদেরকে দেব। আমরা চাই ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেব বিশ্ব পালন করুক। আমাদের যেসব যুক্তিকতা আছে তা অন্য দেশের নেই। কাজেই আমরা বিশ্বাস করি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করবো।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহমুদ রেজা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এবিএম তাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাহজাহান কামাল ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।
এমএসএস/এআরএস/জেআইএম