বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়াই ২৫ মার্চের সভা


প্রকাশিত: ০৭:১৪ এএম, ২৫ মার্চ ২০১৭

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ছবি না থাকায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৫ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভায় ক্ষোভ জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পরই আগত মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন আয়োজকরা। পরে বঙ্গবন্ধুর ছবি এনে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ ঘটনা ঘটে। ‘রক্তাক্ত ২৫ মার্চ গণহত্যার ইতিবৃত্ত’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে জার্নি নামে এক সংগঠন। এতে মিডিয়া পার্টনার যমুনা টেলিভিশন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সোয়া ১১টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর ২০ মিনিট পর একজন মুক্তিযোদ্ধা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘যার কারণে দেশের স্বাধীনতা পেয়েছি। যার বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। তার ছবি ছাড়াই ২৫ মার্চের অনুষ্ঠান চলতে পারে না। এটা বন্ধ করেন। এই অনুষ্ঠান বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়া হতে পারে না।’

শুরুতে ওই মুক্তিযোদ্ধার চিৎকারে কেউ কর্ণপাত না করায় ফের চিৎকার করে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে অনুষ্ঠানে আগতদের দৃষ্টি পড়ে তার ওপর। তখন উপস্থাপক মাইক বন্ধ রাখতে বাধ্য হন।

কিছুক্ষণ পর অনুষ্ঠানে আসা অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি না রাখার প্রতিবাদ জানান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক মাইক্রোফোন নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের দাবি যৌক্তিক। ২৫ মার্চের অনুষ্ঠান অথচ বঙ্গবন্ধুর ছবি নেই। আপনারা শান্ত হোন। আপনারা জানেন সকালে আবহাওয়া কিছৃটা বৈরী ছিল। তাই আয়োজকরা সব ছবি বসাতে পারেননি। ঝড়ে অনেক ছবি নষ্টও হয়ে গেছে।’

পরে দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধুর ছবিসম্বলিত একটি ব্যানার মূল মঞ্চের  পাশে আনা হয়। তখন উপস্থাপক মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দেখুন বঙ্গবন্ধুর ছবি আমরা নিয়ে এসেছি। আপনারা জানেন রৈরী আবহাওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। তাই সকালে অনেক ছবি আমাদের নষ্ট হয়েছে। এখন সেই ছবিগুলোর কাজ চলছে। চিত্র প্রদর্শনির শুরু হলে আপনারা সেসব ছবি দেখতে পাবেন।’

অনুষ্ঠানে আসা এক মুক্তিযোদ্ধা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি সকালেই এই অনুষ্ঠানে এসেছি। তখনও বঙ্গবন্ধুর কোনো ছবি ছিল না। সবার আগে বঙ্গবন্ধু। যার ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম, তার ছবি নাই। এটা কিভাবে সম্ভব? এভাবে চলতে পারে না।

এমএম/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।