গুরুত্বপূর্ণ কোনো ফাইল পুড়ে যায়নি : বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের ১৪ তলাস্থ বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগে লাগা আগুনের ঘটনাকে সামান্য উল্লেখ করে নির্বাহী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র শফিকুল ইসলাম বলেছেন, আগুনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পুড়ে যায়নি। সাধারণ কিছু কাগজপত্র পুড়ে গেছে যা আমাদের বাস্কেটে থাকে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগে। আগুন লাগার অ্যালার্ম বেজে উঠলে সিকিউরিটির সদস্যরা ফায়ারা সার্ভিসে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার পর অর্থমন্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অর্থ প্রতিমন্ত্রী, গভর্নর, ডেপুটি গভর্নররা এখনও ব্যাংকের ভেতরে অবস্থান করছেন। এখন আর আগুনের কোনো আশঙ্কা ও সমস্যা নেই। গভর্নর ঘটনার পরপরই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন। আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে কমিটি। ফায়ার সার্ভিসও আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে। তবে এটি সামান্য ঘটনা। এটি একটি দুর্ঘটনা। রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুর্ঘটনা ছাড়া কিছুই না।
শফিকুল ইসলাম বলেন, জিএমের রুমে গুরুত্বপূর্ণ কোনো ফাইল ছিল না। সব ফাইল বুঝে দিয়ে তিনি চলে সন্ধ্যায় গেছেন। যে কাগজ পুড়ে গেছে তা নরমাল।
তিনি আরও বলেন, অর্থমন্ত্রীর এখানে আসা স্বাভাবিক ঘটনা। কারণ তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কিছু ঘটলে তিনি আসবেন এটাই স্বাভাবিক।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩০তলা ভবনের ১৪ তলায় বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান ও এস কে সুর চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনায় আগুনের কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের এবং ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত কমিটিকে আগামী ২৮ মার্চ ও ফায়ার সার্ভিসের কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এসআই/এমএএস/জেইউ/বিএ