পানি আইন বাস্তবায়নের সুপারিশ টিআইবির
পানি সম্পদ রক্ষায় ‘বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩’-এর দ্রুত বাস্তবয়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে ‘টেকসই উন্নয়নে বর্জ্য পানির ব্যবস্থাপনায় চাই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অংশগ্রহণ’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পানি জীবনের একটি মৌলিক উপাদন। জীবন এবং জীবিকার জন্য পানির সঠিক ব্যবহার ও টেকসই ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্বরোপ করে ১৯৯৩ সাল থেকে জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রতিবছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘ কর্তৃক প্রণীত ২০১৬-২০৩০ মেয়াদী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৬ এর একটি অন্যতম লক্ষ্য (৬.৩) হচ্ছে ‘দূষণ, ময়লা-আবর্জনা এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ কমানোর মাধ্যমে পানির গুণগত মানোন্নয়ন, অপরিশোধিত বর্জ পানির পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনা এবং বৈশ্বিকভাবে পানির পুনর্ব্যবহার, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও তার নিরাপদ পুনর্ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা।
দেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিতে বাংলাদেশের পানি ও বর্জ্য পানি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে টিআইবির পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-
পানি খাত সংশ্লিষ্ট সরকারের বিভিন্ন বিভাগসমূহের কার্যক্রমের ক্ষেত্রে পুনারাবৃত্তি পরিহার করে বিভাগগুলোতকে একীভূতকরণের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে পানি-সম্পর্কিত উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার পথ সুগম করা।
সব ধরনের কলকারখানার জন্য একক বা কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জ্য শোধনাগার (এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) স্থাপন নিশ্চিতে কঠোর জরিমানার ব্যবস্থা করা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাইদুল ইসলাম, টিআইবির সদস্য শফিকুল ইসলাম ও ইয়েস গ্রুপের সদস্যরা।
এএস/জেডএ/পিআর