বালাইনাশক ও বস্ত্র আইনের খসড়া অনুমোদন


প্রকাশিত: ০৮:৪১ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৭

‘বালাইনাশক আইন, ২০১৭’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সচিবালয়ের সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন হয়। বৈঠকে বস্ত্র আইন-২০১৭ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনও দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘পেস্টিসাইড অর্ডিন্যান্সকে বাংলায় অনুবাদ করে বালাইনাশক আইন হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। এখানে খুব বেশি পরিবর্তন আনা হয়নি। নতুন আইনে অপরাধগুলোর ধরন একই রয়েছে, তবে কোনো কোনো জায়গায় শাস্তি একটু বাড়ানো হয়েছে। ১৯৭১ সালের পর ২০০৭ ও ২০০৯ সালে সংশোধন করে শাস্তি বাড়ানো হয়েছে।’

রেজিস্ট্রার্ড ব্র্যান্ডের কোনো বালাইনাশক বিক্রি বা বিক্রির জন্য উন্মুক্ত, মজুদ বা বিজ্ঞাপন দিলে যার ট্যাগ, লেবেল বা প্যাকেজ চিহ্নিত ব্র্যান্ডের প্রকৃতি, উপাদান বা গুণাগুণ যুক্ত না হলে এবং বিজ্ঞাপনে বালাইনাশক মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে বলে জানান শফিউল আলম।

তিনি বলেন, ‘খসড়া আইন অনুযায়ী প্রথমবার এসব অপরাধ করলে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, একই অপরাধ আবার করলে জরিমানা এক লাখ টাকা ও সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। আগে একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করার ক্ষেত্রে জরিমানা ছিল ৭৫ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ জরিমানা ছিল এক লাখ টাকা।’

বিভিন্ন অপরাধের জন্য কারাদণ্ড আগের মতোই এক বছর ও দুই বছর রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

বস্ত্র আইন-২০১৭ এর খসড়ার অনুমোদন
বস্ত্র খাতে টেকসই উন্নয়ন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান, বিনিয়োগ আকর্ষণ, রফতানি বৃদ্ধি, শিল্পের আধুনিকায়ন, মাননিয়ন্ত্রণ ও দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে বস্ত্র আইন-২০১৭ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, নতুন আইনে, সংঘটিত অপরাধে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আইনে মোট ২২টি ধারা রয়েছে। এর মধ্যে মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রায়ত্ত বস্ত্র কারখানাগুলোর ব্যবস্থাপনা ও তদারকি, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সহায়তা প্রদান, খাতের উন্নয়নে তহবিল গঠন, মাননিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সমন্বয়, খাতের শিল্প নিবন্ধন, দক্ষ জনবল তৈরি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, গবেষণাকল্পে তথ্যভাণ্ডার প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ, তথ্যাদি প্রদান ও মূল্য স্থিতিকরণ, অপরাধ ও দণ্ড, বিচার ও আপিল।

নতুন আইন অনুযায়ী, আইনের অধীনে বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও নিবন্ধন গ্রহণ বা নিবন্ধন নবায়ন না করা হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। আবার নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত হওয়ার পর আপিল ব্যতিরেকে বস্ত্রশিল্প বা কারখানার কার্যক্রম অব্যাহত রাখলেও তা অপরাধ হবে। সরকার বা পোষক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তার পরিদর্শন কাজে বাধা প্রদান বা অসহযোগিতাও হবে অপরাধ।

কেউ যদি নকল বা ডুপ্লিকেট নিবন্ধন বা এমন কোনো রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করেন, যা সঠিক নয় এবং তা যদি কর্মকর্তার পরিদর্শনকালে উপস্থাপন করেন, তবে তাও অপরাধ বলে গণ্য হবে।

এমইউএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।