নাশকতা রোধে শাহজালালে বিস্ফোরক শনাক্তকরণ যন্ত্র


প্রকাশিত: ০৪:০২ এএম, ২০ মার্চ ২০১৭

জঙ্গি হামলা ও নাশকতা প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসানো হচ্ছে বিস্ফোরক শনাক্তকরণ যন্ত্র। এছাড়া যাত্রীদের লাগেজ বিশেষ উপায়ে তল্লাশির জন্য পৃথকভাবে কাউন্টারে বসানো হচ্ছে ডুয়েল ভিউ স্ক্যানিং মেশিন।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

বেবিচক সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ভারি ব্যাগ তল্লাশির জন্য ৮টি ডুয়েল ভিউ এক্স-রে স্ক্যানিং মেশিন, হ্যান্ড ব্যাগ তল্লাশির জন্য ১৪টি ডুয়েল ভিউ স্ক্যানিং মেশিন, ৯টি আন্ডার ভিইকল স্ক্যানিং সিস্টেম (ইউভিএসএস), ৪টি ফ্যাপ ব্যারিয়ার গেট উইথকার্ড রিডার, ৬টি লিকুইড এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (এলইডিএস), ৫টি ব্যারিয়ার গেট উইথ আরএফআইডি কার্ড রিডার, ৪টি এক্সপ্লোসিভ ট্রেস ডিটেকশন (ইটিডি) এবং ২টি এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইডিএস) কেনা হয়েছে। ডুয়েল ভিউ এক্স-রে স্ক্যানিং মেশিন ব্যাগের ওপর ও দুই পাশসহ সব দিক দিয়েই স্ক্যান করতে সক্ষম।

গত বছরের ৮ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন দেয়। দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য জরুরি সরঞ্জাম সরবরাহ ও সংস্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয় ৮৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এরইমধ্যে সব যন্ত্রপাতি কেনা শেষ হয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা তদারককারী ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রেড লাইনের পরামর্শে কেনা হয়েছে এসব যন্ত্র। বর্তমানে চলছে সংস্থাপন কার্যক্রম।

সূত্র জানায়, যন্ত্রগুলো স্থাপনের জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন হয়েছে। সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের এসব যন্ত্র পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেবে সরবরাহকারী ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান স্মিথস ডিটেকশন। বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে পুরোনো যন্ত্র সরিয়ে নতুন যন্ত্র সংযোজনের কাজ চলছে।

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত বছরের মার্চে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাজ্য। এরপর যুক্তরাজ্যের পরামর্শে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পায় ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রেড লাইন। প্রতিষ্ঠানটি সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তাকর্মীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশীসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্র সংযোজনের পরামর্শ দেয়।

এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক কাজী ইকবাল করিম জাগো নিউজকে বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় এখানে কর্মরত সবগুলো সংস্থা তৎপর রয়েছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। বিস্ফোরকদ্রব্য শনাক্ত করতে ১৪টি এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন মেশিন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি মেশিন ইতোমধ্যে বসানো হয়ে গেছে। এগুলোর সবকটি ডিজিটাল পদ্ধতিনির্ভর। নিরাপত্তায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে এসব যন্ত্র।

তিনি আরও বলেন, যে কয়টি ডুয়েল ভিউ এক্স-রে স্ক্যানিং মেশিন এসেছে সেগুলো সংযোজনের কাজ চলছে। কিছু মেশিনের ব্যবহার এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। সবগুলো মেশিন বসানো হলে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকগুণ বেড়ে যাবে বলে তিনি জানান।

আরএম/এসআর/এআরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।