প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরও বাংলাদেশ বিমানে


প্রকাশিত: ০২:৫৯ এএম, ২০ মার্চ ২০১৭

আবারও রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে সরকারি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭ এপ্রিল বিমানের ফ্লাইটেই চারদিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন তিনি। সরকারি একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সরকারের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে নয়াদিল্লি যাবেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।

গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। বাধ্য হয়ে প্লেনটি তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। ওই ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনার পরে কয়েকটি বিদেশ সফরে অন্য এয়ারলাইন্সে বিদেশ সফর করেন প্রধানমন্ত্রী।

উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটির ওই ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড  ম্যাটারিয়াল ম্যানেজমেন্ট) উইং কমান্ডার (অব.) এমএম আসাদুজ্জামান। মামলার অভিযুক্তরা এখন কারাগারে আছেন।

এদিকে গত জানুয়ারিতে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশ বিমানের পরিবর্তে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইতিহাদ এয়ারওয়েজে সুইজারল্যান্ড যান শেখ হাসিনা।

পরে চলতি মাসের ৬ তারিখে শেখ হাসিনা ইন্দোনেশিয়া সফর করেন। বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে চড়ে জাকার্তায় অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ওসান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

বিমান বাংলাদেশ সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী আবারও বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণ করছেন বিষয়টি বিমান কর্তৃপক্ষের জন্য খুবই স্বস্তির খবর। তবে নিরাপত্তাসহ কোনো কিছুতেই যাতে কোনো ত্রুটি না থাকে তাও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

আগামী ৭-১০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত সফর করবেন শেখ হাসিনা। এর আগে শেখ হাসিনা ২০১০ সালের জানুয়ারিতে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় সফর করেছিলেন দেশটিতে।

তবে ২০১৫ সালের জুনে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেবার ঢাকায় তিনি শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ সফরের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সফরকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণে দেশটির রাষ্ট্রপতি ভবন রাইসিনা হিলে থাকবেন শেখ হাসিনা। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী, যিনি রাইসিনা হিলে অবস্থান করবেন। এ ঘটনাকে খুব ব্যতিক্রমী বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছার পরপরই শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার জানানো হবে।  রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাইসিনা হিলে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে রাষ্ট্রপতি ভবনেই রাষ্ট্রীয় ভোজের আয়োজন করা হবে।

জেপি/এমএমএ/এআরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।