বিজিবি মাঠে থাকবে: মহাপরিচালক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক মেজর জোনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, এতদিন যারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পেট্রলবোমা হামলা চালিয়ে নাশকতা করেছেন তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সেইসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত বিজিবি মাঠে থাকবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর শালবাগানস্থ ৩৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন সেক্টর কমান্ডারের সেমিনার কক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ের সময় বিজিবি’র মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ এ কথা বলেন।
বিজিবি’র মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ আরো বলেন, বিজিবি’র মূলত ৫টি কাজ। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, সীমান্তে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা, অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করা ও সরকার যে কাজে বাহিনীকে ব্যবহার করবে সেই কাজ করা।
তিনি বলেন, আগামী দিনে বিজিবি কত দিন মাঠে থাকবে, সেই দিনগুলোতে বিজিবি’র কাজ কি হবে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই আমার এখানে আসা। সরকার যতদিন চাইবে তত দিন বিজিবি সদস্যদের মাঠে থাকতে হবে। এ বিষয়ে বিজিবি সদস্যদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবে বলা হয়েছে।
মত বিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রংপুর রিজিওনের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাহফুজুর রহমান, ৩৭ বর্ডার গার্ডের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল একেএম ফেরদৌসুল সাহাব।
সীমান্তে মাদক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বিজিবি’র মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ বলেন, ভারতীয় বিএসএফের তুলনায় আমাদের বিজিবি`র সংখ্যা অনেক কম। আমাদের সীমান্তে প্রতি ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে বিওপি ক্যাম্প অবস্থিত। ভারতের মতো নেই কাঁটা তারের বেড়া। তবু অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে মাদক নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
তিনি আরো বলেন, সীমান্ত দিয়ে আগে যেভাবে ফেন্সিডিল আসতো এখন তা আর আসে না। বর্তমানে দুই সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সম্পর্কের অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। ২০১৪ সালে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়া ৫৭৫ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। এবং ১৫০ জন ভারতীয়কেও ফেরত দিয়েছে বিজিবি।
এমজেড/এমএএস/আরআইপি