রাজধানীতে শুরু হচ্ছে পুলিশের বিশেষ অভিযান


প্রকাশিত: ০৮:১৯ এএম, ২৩ আগস্ট ২০১৪

রাজধানী জুড়ে শুরু হচ্ছে পুলিশের বিশেষ অভিযান। আজ শনিবার রাত থেকে শুরু হয়ে অভিযান চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। সম্প্রতি হত্যা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা আকস্মিক বেড়ে যাওয়ায় অপরাধীদের গ্রেপ্তারে এই অভিযান শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এর আগে চলতি মাসের ৮ তারিখ থেকে মতিঝিল, রমনা ও মিরপুর বিভাগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়ে তা চলে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। ডিএমপির সদর দপ্তর সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট ডিএমপি সদর দপ্তরে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৮ আগস্ট থেকে তিন বিভাগে বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই তিন বিভাগে থানা পুলিশের পাশাপশি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ একযোগে বিশেষ অভিযান শুরু করে। ঈদের পর এটিই ছিল ডিএমপির প্রথম বিশেষ অভিযান। এর ১০ দিন পরই পুরো রাজধানী জুড়ে এই অভিযান শুরু করা হলো। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মীর রেজাউল আলম অভিযান শুরুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ৫ আগস্টের সভায় তিন বিভাগের পাশাপাশি মহানগরী জুড়ে যে অভিযানের কথা ছিল তার অংশ হিসেবে ২৩ আগস্ট রাত থেকে অভিযান শুরু হচ্ছে। থানা পুলিশের সঙ্গে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সব টিম এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে। জানা যায়, রাজধানীতে প্রতি মাসে গড়ে ২৩টি ছিনতাই ও দস্যুতার ঘটনা ঘটছে। চলতি বছরে গত সাত মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে রাজধানীর থানাগুলোতে ছিনতাই ও দস্যুতার ঘটনায় ১৯টি মামলা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে মামলা হয় ২০টি। মার্চ মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৬-এ। এপ্রিল মাসে থানায় ১৯টি মামলা হলেও মে মাসে মামলার সংখ্যা বেড়ে হয় ২১টি। গত জুন মাসে রাজধানীর থানাগুলোতে ছিনতাই ও দস্যুতার ঘটনায় ৩১টি মামলা হলেও জুলাই মাসে এ মামলার সংখ্যা হয় ২৩টি। কয়েকটি মামলায় আসামি গ্রেপ্তার হলেও বড় বড় ছিনতাই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশি হিসেবের বাইরেও আছে আরো ছিনতাইয়ের ঘটনা।

বিশেষ অভিযান শুরু প্রসঙ্গে রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, আমরা অভিযানের নির্দেশ পেয়েছি।  রাত থেকেই অভিযান শুরু হবে। অভিযানের ব্যাপারে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা পূরণ করতে সক্ষম হবো। খিলগাঁও থানার ওসি শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে এলাকায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও ছিনতাই গ্রুপের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকা অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

এদিকে বিশেষ গুরুত্বের কারণে রামপুরা ও পল্লবী থানা এলাকা বিশেষ এ অভিযান শুরু হয় শুক্রবার রাত থেকেই। রামপুরা থানার ওসি মাহাবুব আলম তরফদার বলেন, লিখিত আদেশ হাতে পাওয়ার পর শুক্রবার রাত থেকেই এই অভিযান শুরু হচ্ছে। এ ব্যাপারে অফিসারদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অভিযান শুরুর কথা জানান পল্লবী থানার ওসি সৈয়দ জিয়াউজ্জামানও। তিনি বলেন, এই বিভাগের অন্যান্য থানার মতো পল্লবী থানা এলাকাতেও বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। আমরা আসামি গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।