১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালনের প্রস্তাব সংসদে
অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ১ ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালনের জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দিবস আছে, অন্যান্য দিবস আছে। ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। ১ ডিসেম্বরকে আমরা মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালন করতে পারি কি-না, এটা বিবেচনা করার জন্য জাতীয় সংসদে উত্থাপন করছি।’
শনিবার জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করার জন্য আনা প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন শিরিন আখতার।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘প্রস্তাবটি সংশোধিত আকারে এখানে গৃহীত হলে খুব সুন্দর হবে।’ এ সময় তিনি সংশোধিত প্রস্তাব তুলে ধরেন। তা হলো- ‘যেহেতু ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা এবং তাদের এদেশীয় সহযোগীরা বাংলাদেশের ৩০ লাখ নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে, যা আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন-৭৩ এর সংজ্ঞা অনুযায়ী গণহত্যা। যেহেতু গণহত্যার শিকার বিভিন্ন দেশ গণহত্যায় নিহতদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি গণহত্যার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য জাতীয় পর্যায়ে গণহত্যা দিবস পালন করে সেহেতু আমরা ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব করছি।’
প্রস্তাবে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘যেহেতু বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সংগঠিত গণহত্যায় নিহতদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশসহ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৯৩টি দেশ এ প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন করেছে, জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহ ২০১৫ সাল থেকে ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ দিবস যাথাযথ মর্যাদায় পালন করছে সেহেতু বাংলাদেশে ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যাস্মরণ দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব করছি।’
এইচএস/বিএ/আরআইপি