প্রত্যেক সাঁওতাল পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আহ্বান


প্রকাশিত: ০৯:০৬ পিএম, ০৬ মার্চ ২০১৭

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাপমারার সাঁওতাল প্রত্যেক পরিবাররের জন্য ২৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে সচেতন নাগরিক কমিটি। এছাড়া প্রশাসন ও লুটেরা সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের ১০ দফা দাবি রাষ্ট্রকে অবিলম্বে মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের আদিবাসী ও বাঙালিদের উপর রংপুর চিনিকল ও পুলিশের হামলা, মামলা, লুটপাট, খুন, উচ্ছেদ, অগ্নিসংযোগ, হয়রানির প্রতিবাদ এবং লুটেরাদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সচেতন নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এক অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, জন উদ্যোগের সভাপতি তারিক হোসেন মিঠুল, মানবাধিকার কর্মী মাহবুবুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং প্রমুখ।

অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের মর্মান্তিক ঘটনাকে রাষ্ট্রের উপলব্ধি করতে হবে। অবিলম্বে বাংলাদেশের আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার জন্যে পৃথক মন্ত্রণালয় এবং সমতল আদিবাসীদের জন্যে পৃথক ভূমি কমিশন গঠনের জন্যে রাষ্ট্রকে উদ্যোগ নিতে হবে।

জন উদ্যোগের সভাপতি তারিক হোসেন মিঠুল বলেন, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের গরিব আদিবাসী ও বাঙালি কৃষকদের বিচারের নামে হয়রানি বন্ধ ও  তাদের নিজ ভূমিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে অনতিবিলম্বে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রকে উদাহরন স্থাপন করতে হবে।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, সারাদেশে আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ভূমি সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে। স্বাধীনতার ছেচ্চল্লিশ বছর পরেও বাংলাদেশের সাঁওতাল, মুণ্ডাসহ অন্যান্য আদিবাসীরা ঔপনিবেশিক শাসনের যাতাকল হতে মুক্ত হতে পারেনি। রাষ্ট্র একদিকে চুক্তি অনুযায়ী আদিবাসীদের ভূমি ফিরিয়ে দেয়নি, অন্যদিক মিল কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা ভূমির প্রকৃত মালিক আদিবাসী-বাঙালিদের ওপর হামলা, মামলা, নিপীড়ন চালাচ্ছে।

বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, মহিমাগঞ্জ চিনিকলের নামে স্থানীয়দের সঙ্গে ভূমি অধিগ্রহণের যে চুক্তি করা হয়েছে রাষ্ট্র নিজেই তা লঙ্ঘন করে উল্টো নিপীড়নের মাধ্যমে ভূক্তভোগীদের ন্যায্য দাবিকে দমন করার চেষ্টা করছে।

এমএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।