সম্প্রচার নীতিমালা সরকারের রাজনৈতিক পরিকল্পনা


প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ২১ আগস্ট ২০১৪

সম্প্রচার নীতিমালা সরকারের একটা রাজনৈতিক পরিকল্পনা বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মুকসুদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সুজনের উদ্যোগে ‘সম্প্রচার নীতিমালা, আইন ও সম্প্রচার কমিশন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

সৈয়দ আবুল মুকসুদ বলেছেন, সম্প্রচার নীতিমাল সরকারের একটা রাজনৈতিক পরিকল্পনা। এখানে একটা নীলনকশা রয়েছে। এই নীতমালার উদ্দেশ্য হলো দেশে শুধু সমর্থক, বংশবদ, স্তুতিকার ও অনুগ্রহভোগীরা থাকবে। স্বাধীন কণ্ঠ কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার থাকবে না। আর কয়দিন পরে হয়তো এমন নীতিমালাও করবে সরকার যখন সাংবাদিকদের হলুদ জামা আর কলামিস্টদের হাফ প্যান্ট পরতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বিচারপতিদের নীতিমালা করা হয়েছে। এর ফলে তাদের নৈতিকতা খর্ব করা হয়েছে। এখন যদি কণ্ঠরোধের নীতিমালা প্রণয়ন করা হয় তাহলে কয়েকদিন সবাই মানববন্ধন বা আন্দোলন করবে। এরপর থেমে যাবে।

নারায়ণগঞ্জের ঘটনার পরই সরকার এই সম্প্রচার নীতিমালা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি বলেন, সরকার মনে করে যাদের চুল-দাঁড়ি পেকেছে তারাই ভালো পরামর্শ দিতে পারে। কিন্তু তা ঠিক নয়, বাস্তববাদী তরুণদের মধ্যে অনেক মেধা রয়েছে। তারা মাঠে-ঘাটে কাজ করে। তাদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

আবুল মুকসুদ বলেন, এই নীতিমালা যদি করতে হয় তাহলে মিডিয়ার মালিক, চিফ রিপোর্টার, মাঠ পর্যায়য়ের রিপোর্টার, নাগরিক সমাজ সবার সাথে আলাপ করেই করা হোক। নতুবা এটা দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। দেশ ক্রমেই নিয়ন্ত্রণবাদী শাসনের দিকে ধাবিত হবে।

সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের আগে র্যা ব এরশাদকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এটা ছিল সরকারের একটা কৌশল। কিছু কিছু দল ও লোককে নির্বাচনের বাইরে রাখার জন্যই এসব পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, এখন জনগণের পক্ষে টক-শোতে কথা বলা হয়, সংসদে বলা হতো আর গণমাধ্যমকর্মীরা প্রকাশ করতো। তাই সরকার টক-শো নিয়ন্ত্রণের পর এবার গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এরফলে দেশে অপশাসন শুরু হবে।
 
বৈঠকে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান, বিশিষ্ট সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান প্রমুখ।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।