আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ছাড় দেওয়া হবে না


প্রকাশিত: ০৯:১১ এএম, ১০ এপ্রিল ২০১৫

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন চট্টগ্রামের রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেন। আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার জন্য প্রার্থীদের কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন রিটার্নিং অফিসার প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ভোটের জন্য কাউকে ঘুষ দেওয়া, ভোটকেন্দ্র দখল করা, জাল ভোট দেওয়া, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের মারধর করা, ভোটকেন্দ্রের আশপাশে কিংবা পথে আসার সময় ভোটারদের বাধা দেওয়া, কাউকে ভোটদানে নিরুৎসাহ করা নির্বাচনী আইনে গুরুতরঅপরাধ।

এই ধরনের গুরুতর আচরণবিধি কিংবা যেকোনো ধরনের নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করা হলে তারা যত বড় ক্ষমতাবানই হউক-না কেন কাউকে ছাড় দেওয়াহবে না। সবাইকে আচরণবিধি মানতে বাধ্য করা হবে। শুক্রবার চট্টগ্রামের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দকালে প্রার্থীদের উদ্দেশে রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেন এসব হুঁশিযারি উচ্চারণ করেন।

চট্টগ্রামের মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রমের শুরুতে আবদুল বাতেন বলেন, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনকারীদের সর্বনিম্ম সাজা হচ্ছে দুই বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড। এসব অপরাধ অ-জামিনযোগ্য। তাই আমরা আশা করবো কেউ এই ধরনের অপরাধে জড়িত হবে না।

আবদুল বাতেন বলেন, কেউ গুরুতর অপরাধ করলে আমরা মামলা করতে বাধ্য হবো। আবদুল বাতেন মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলরদের আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রামে অতীতেও সুষ্ঠু নির্বাচনের ঐতিহ্য আছে। এবারও আমরা আশা করছি সুষ্ঠু, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটাররাও নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারবেন।

বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।