বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পাট শিল্প জড়িত : রাষ্ট্রপতি


প্রকাশিত: ০৩:৪৯ এএম, ০৬ মার্চ ২০১৭
ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পাট শিল্পের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি জড়িত। দেশীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে মানানসই পাট ও পাটজাত পণ্য দেশে যেমন গুরুত্বের দাবিদার, তেমনি বিশ্ব বাজারেও এটি এখন অনন্য পরিবেশ-বান্ধব পণ্য হিসেবে সমাদৃত।

জাতীয় পাট দিবস-২০১৭ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। বাণীতে তিনি জাতীয় পাট দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি, ‘বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সোমবার (৬ মার্চ) দেশে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় পাট দিবস-২০১৭’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বাংলার পাটখাতের সমৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত করতে এ উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন ‘স্বাধীনতা’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। সে লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্যস্বাধীন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) রাষ্ট্রের উৎপাদন যন্ত্রের ওপর জনগণের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে পাট ও বস্ত্রকলসমূহ জাতীয়করণ করেন। পাটের গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, রাষ্ট্রীয় পাটকলসমূহ আধুনিকায়নের ফলে পাটখাত পুনরায় অর্থনীতিতে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখছে। দেশের অর্থনীতি ও মানবসম্পদ উন্নয়নসহ সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাটশিল্প উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য লাভে সক্ষম হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য নির্মূলসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও বাংলাদেশ সফল হবে বলে তার দৃঢ় বিশ্বাস। এ ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব পাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে। সরকার গৃহীত রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প- ২০৪১’র আলোকে বাংলাদশ ২০৪১ সালের আগেই উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বলে ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি’।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্য, শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণে তিনি নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।

এমএমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।