গ্রেনেড হামলার ব্যাপারে খালেদা জিয়া উদাসীন ছিলেন


প্রকাশিত: ১২:১৩ পিএম, ২১ আগস্ট ২০১৪
ফাইল ফটো

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হামলার ব্যাপারে উদাসীন মনোভাব দেখিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গ্রেনেড হামলার পর হাসপাতালগুলোতে বিএনপির ডাক্তাররা চিকিৎসা দেয়নি। অদৃশ্য শক্তির নির্দেশে চিকিৎসা দেয়া হয়নি। পিজি হাসপাতালে সেদিন কোনো রোগীকে ভর্তি করা হয়নি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এ হামলার ব্যাপারে উদাসীন মনোভাব দেখান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দিন একের পর এক বোমা পড়তে লাগল। এখনো অনেক নেতা-কর্মীর গায়ে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার লেগে আছে। সেই দিনের কথা ভুলতে পারব না। চোখের পলকেই সব উলটপালট হয়ে গেল। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং তখন হামলার অনেক আলামত মুছে ফেলা হলো।

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপি সরকার কোনো ব্যাপারেই কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তখন আরও অভিযোগ করা হয়েছে, আমি নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে নিজেই হামলা করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সেই দিনের কথা ভুলতে পারব না। চোখের পলকেই সব উলট-পালট হয়ে গেলো। আল্লাহর ইচ্ছায়ই আমি বেচে গেছি। হয়তবা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই আল্লাহর রহমত ছিল।


শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলেই দেশের মানুষ শান্তিতে ছিল। আর বিএনপি দেশে গুম-খুন, হত্যা চালিয়েছে। মানুষ মেরে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমাদের বহু নেতার জনসভায় হামলা করেছে। সারা দেশে একের পর এক সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

তিনি বলেন, তৎকালীন সরকারের মদদ না থাকলে জঙ্গিরা ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা করতে পারতো না। এবারের নির্বাচনের আগেও মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। এটাই তাদের কাজ। তারা আন্দোলনের নামে মানুষকে হত্যা করে দেশে এক অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। একটা খুনি পরিবার এদেশের মানুষকে হত্যা করে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করতে চেয়েছিল।

তাই যারা স্বার্থ ছাড়া কিছুই বুঝে না এ দেশের মানুষকে তাদের বয়কট করতে হবে। এই খুনি পরিবার থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে।

এর আগে বিকেল সোয়া ৫টায় শেখ হাসিনা সেখানে নির্মিত অস্থায়ী বেদীতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সবশেষে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের নেতারা নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পাঠ করেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।