ফতুল্লায় মা-মেয়ের পিটুনিতে অন্তঃসত্বা নারীর মৃত্যু


প্রকাশিত: ১২:২২ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৫

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মা-মেয়ের পিটুনিতে নাজমা (২৫) নামে এক অন্তঃসত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে। ১৪ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত নাজমা পূর্ব ইসদাইর এলাকার সাইফুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মিজানুর রহমানের স্ত্রী।

নিহত নাজমার স্বামী মিজানুর রহমান জানান, আমার স্ত্রী নাজমা ইসদাইর চেয়ারম্যান রোডে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে নিজের নামে একটি টেইলার্স দিয়ে নারীদের জামা কাপড় তৈরি করেতেন। কয়েক মাস পূর্বে আত্মীয় সানাউল্লার কাছ থেকে আমি ১৩৭৫ টাকা ধার নেই। ১৫ দিন পূর্বে পাওনা টাকা চাইতে এসে বাসায় আমাকে না পেয়ে সানাউল্লার স্ত্রী শান্তি ও তার মেয়ে লাবনী আমার স্ত্রীর টেইলার্সে যায়। সেখানে গিয়ে নাজমার সাথে তারা মা-মেয়ে তর্কে জড়িয়ে এক পর্যায়ে এলোপাতারি মারপিট করেন।

ওই সময় নাজমা ৩ মাসের অন্তঃসত্বা ছিলেন। এতে নাজমা গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং ব্লিডিং শুরু হয়। তখন শান্তি ও তার মেয়ে লাবনী তাৎক্ষণিক পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন নাজমাকে তার দোকান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ১৪ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর বুধবার রাতে নাজমাকে বাসায় নিয়ে আসি। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। টাকার অভাবে হাসপাতালে নাজমাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারিনি।
থানায় গিয়ে অভিযোগ করলেও টাকা প্রয়োজন। তাই থানায় কোনো অভিযোগ করিনি। স্থানীয় লোকজনের সাহায্য সহযোগীতায় দাফনের চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি আসাদুজ্জামান জানান, মৃত্যুর ঘটনা শুনেছি। নিহতের কেউ থানায় অভিযোগ করতে আসেনি। যদি অভিযোগ করে তাহলে ঘটনার তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।