রাজধানীতে যান চলাচল শুরু
রাজধানীর প্রধান তিন পরিবহন টার্মিনাল সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালী থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যাচ্ছে। বুধবার বিকেল ৩টার পর থেকে এসব টার্মিনালে পরিবহন চলাচল শুরু হয়। সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে রাজধানীর অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী বাসগুলো চলাচল শুরু করে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই দূরপাল্লার পরিবহনগুলোর বন্ধ কাউন্টার খোলা শুরু হয়।
সাড়ে ৩টার মধ্যেই সিলেট, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে একাধিক গাড়ি ছেড়ে যায়। একই সময় গাবতলী ও মহাখালী এলাকা থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়।
মহাখালী থেকে জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক আদনান রহমান জানান, মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ৩টা ১০ মিনিটের দিকে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল শুরু হয়। একই সঙ্গে মহাখালী থেকে রাজধানীর অভ্যন্তরীর যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়েছে। গাবতলী থেকে জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক সায়াদাত জানান, ৩টার পর গাবতলী থেকেও বিভিন্ন রুটের পরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে।
গাবতলীর মাজার রোডের জে লাইন পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার ইদ্রিস আলী জাগো নিউজকে জানান, গাবতলী এলাকা থেকে ঢাকা-ঝিনাইদহ, ঢাকা-চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা-মেহেরপুর রুটের গাড়ি ছাড়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আজই সব পরিবহন কোম্পানি গাবতলী থেকে গাড়ি ছাড়বে।
যাত্রাবাড়ীতে কথা হয় তুরাগ পরিবহনের চালক মো. হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা গাড়ি রেখে যাত্রাবাড়ীতেই ছিলাম। পৌনে তিনটির দিকে মালিক ফোন দিয়ে বলেন ধর্মঘট উঠে গেছে। রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামা যাবে। এরপরই গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি।
ঢাকা-সিলেট রুটের রয়েল পরিবহনের হেল্পার মামুন বলেন, মালিক পক্ষ থেকে নির্দেশ এসেছিল গাড়ি সায়েদাবাদে রেখে আশপাশেই অবস্থান করতে। তাই গতকাল সায়েদাবাদে গাড়ি রেখে এখানেই ছিলাম। আড়াইটার দিকে আমাদের ফোন দিয়ে বলা হয়, গাড়ি ছাড়ার জন্য। এর পরপরই আমরা গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। তবে যাত্রী কম।
এমএএস/ওআর/আরআইপি/জেআইএম