সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন ভবনে মালিক-শ্রমিক ও সরকারের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
নৌ-মন্ত্রী বলেন, আশা করছি শ্রমিকরা যে কর্মবিরতিতে রয়েছে তা প্রত্যাহার করে এখন থেকে কাজে ফিরে যাবে। ফলে সৃষ্ট অচলাবস্থার অবসান হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি মামলায় চালকের যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। আরও দুটি মামলায় হাইকোর্টে ১২ কোটি ৮৮ লাখ এবং বিশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। দূর্ঘটনার কারণে ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজা হওয়াকে শ্রমিকরা নিরাপদ বোধ করছে না।
এসব বিষয়ে আমরা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। মন্ত্রীদ্বয় আমাদের সমস্যা উপলব্ধি করেছেন। তারা আইনি সমাধানসহ চলমান সমস্যা নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে যান চলাচলের অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস শ্রমিকরা যে কর্মবিরতিতে রয়েছে তা প্রত্যাহার করে এখন থেকে কাজে ফিরে যাবে। পরিবহনে এ অচলাবস্থাকে কেন্দ্র করে কিছু মহল উস্কানি দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী।
সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থায় দুঃখ প্রকাশ করে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, আমি নিজেই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
বৈঠকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ফারুক তালুকদার সোহেলসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/এআরএস/পিআর