কারাগারের পথে রায়ের কপি
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাক্ষর করা কপি কারাগারে উদ্দেশ্যে। সুপ্রিমকোর্ট থেকে রায়ের কপিটি ট্রাইব্যুনালে পৌছানোর পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এর আগে বুধবার বিকেল পৌঁনে ৫টায় কপিটি ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার অরুণ আভো গ্রহণ করেন। সুপ্রিম কোর্টের উপ-রেজিস্টার মেহেদী হাসান এটি ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসেন। একই সঙ্গে রায়ের কপি পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার জেলা প্রশাসকের কাছে। রায়ের কপি পাওয়ার পর ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু করবেন কারা কর্তৃপক্ষ।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, রায় পৌঁছানোর পর আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এর ২০(৩) ধারা অনুসারে সরকার কার্যকরের ব্যবস্থা নেবে। সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ফাঁসির দিনক্ষণ ঠিক হবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী জানান, রায়ের কপি পাওয়ার পর ফাঁসির রায় কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু করবেন কারা কর্তৃপক্ষ।
তবে প্রাণভিক্ষা করা হলে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত না জানা অথবা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকর করা যাবে না বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
জেইউ/এসআই/এএইচ/আরআইপি