সামুদ্রিক মৎস্য আইন লংঘনে শাস্তি বাড়ল
এক বা একাধিক মৎস্য প্রজাতির উৎসস্থল সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে জরিমানা বাড়িয়ে সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০১৭ এর অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, নতুন আইনে আইন লংঘনের দায়ে ৩ বছরের জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইন অনুযায়ী কেউ অাইন লংঘন করলে (যেমন, ক্ষতি সাধান, লাইসেন্স শর্ত ভঙ্গ) ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের সম্মুখীন হবেন। এর আগে জরিমানার পরিমাণ ছিল ১ লাখ টাকা।
মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, সামরিক আমলে প্রণীত ‘দি মেরিন ফিসারিজ অর্ডিনেন্স ১৯৮৩’ বাতিল করে সংশোধনসহ বাংলা ভাষায় আইনটি যুগোপযোগী করে করা হয়েছে। শাস্তি বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে ৫৫, ৫৭ ও ৫৮ ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
নতুন আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য জলসীমায় সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রীয় জলসীমা অর্থ্যাৎ মেরি কালচারাল অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং অন্য কোনো সামুদ্রিক জলসীমায় সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও উন্নয়নসহ মৎস্য আহরণ করা যাবে।
এই আইনের ফলে সরকার নির্ধারিত পরিমাণ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন (টনের হিসেবে) যান্ত্রিক মৎস্য আহরণের নৌযানকে মাছ ধরতে চিহ্নিত এলাকায় মৎস্য আহরণ অথবা অন্যান্য নৌযান দিয়ে মৎস্য আহরণে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।
এমইউএইচ/এনএফ/এআরএস/আরআইপি/এমএস