দেশে অসংক্রামক রোগ বেড়েছে : নাসিম


প্রকাশিত: ০৯:৩৬ এএম, ০৬ এপ্রিল ২০১৫
ফাইল ছবি

দেশে বর্তমানে অসংক্রামক রোগের বিস্তার পূর্বের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সোমবার দুপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০১৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেছেন, অসংক্রামক রোগের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, ক্যান্সার, কিডনী সমস্যা অন্যতম। যার পিছনে অনিরাপদ বা ভেজাল খাদ্য গ্রহণের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ফলে ২’শ-টিরও অধিক রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এসকল রোগের পরিণতি অনেক সময় মানুষকে মৃত্যু বা পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দেয়। মানুষ কর্মক্ষমতা হারায় এবং সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। ভেজাল খাদ্যজনিত সৃষ্ট জটিল রোগের চিকিৎসাও ব্যয়বহুল।

তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে বর্তমান সরকার অত্যন্ত সচেতন আছে। তবে জনসাধারণের মাঝে এ বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা একান্ত জরুরি। দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত কর্মকাণ্ড সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন, যা আলোচ্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে।

নাসিম বলেন, কাঁচা খাদ্যে বিপদজনক জীবানু থাকতে পারে যা খাদ্য তৈরির সময় অন্যান্য খাদ্যে স্থানান্তরিত হয়ে রোগের কারণ হতে পারে। খাদ্য ভালোভাবে সিদ্ধ করলে প্রায় সবধরণের রোগ-জীবানু মারা যায়। খাদ্য স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে রোগ-জীবানুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কাঁচা খাদ্য ভলোভাবে ধুয়ে ও খোসা ছাড়িয়ে নিলে খাদ্যবাহিত রোগের ঝুঁকি কমে যায়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে খাদ্য ভেজালে ফরমালিন ও কার্বাইড ব্যবহৃত হচ্ছে। খাদ্যে রাসায়নিক দ্রব্যের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে ক্যান্সার ও কিডনি নষ্টসহ মৃত্যুর আশংকা থাকে। দেশের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে ন্যাশনাল ফুড সেফটি এ্যাক্ট ২০১৩ ইতোমধ্যে প্রণয়ন ও কার্যকর করা হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তায় ন্যাশনাল ফুড সেফটি পলিসি চূড়ান্তকরণের কাজ চলছে। সম্প্রতি ন্যাশনাল ফুড সেফটি অথরিটি গঠিত হয়েছে এবং এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে এবং এ কার্যক্রম দেশব্যাপী চলছে।

তার মতে, বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে অনেক সাফল্য এসেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বর্তমানে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মোট প্রজনন হার বর্তমানে ২ দশমিক ৩। গত এক দশকে মাতৃমৃত্যুর অনুপাত হ্রাস পেয়ে ১৭০-এ দাঁড়িয়েছে। শিশুমৃত্যু হার বর্তমানে ৪৩। গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৬৯ বছর হয়েছে।

এসএ/আরএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।