বিদেশ যাওয়ার আগে নারী শ্রমিকের সতর্কতা
পরিবার, প্রিয়জনদের মুখে একটু হাসি ফোটানোর আশায়, একটুখানি স্বচ্ছলতার আকাঙ্ক্ষায় আমাদের দেশের নারী শ্রমিকেরা এখন দেশ ছেড়ে দেশের বাইরেও পা রাখছেন। গত দুই দশকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কাজ করতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তবে সব সময় তাদের এই বিদেশ গমন সুখকর হয় না। অনেক সময় এই নারীরা দেশে এবং দেশের বাইরে নানারকম প্রতারণার শিকার হন, বিপদে পড়েন। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন-
করণীয় :
১. বিদেশ যাওয়ার জন্য সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে যোগযোগ করতে হবে। তাদের বি.এম.ই.টির নিয়োগ অনুমতি আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে।
২. নিজেই পাসপোর্ট করার চেষ্টা করা উচিত।
৩. বিদেশ যাবার আগে ব্যাংকে দুটি একাউন্ট খোলা উচিত। এর একটি নিজের নামে আরেকটি পরিবারের অন্য কোন সদস্যের নামে।
৪. টাকাপয়সা দেয়ার সময় রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স নম্বরসহ রসিদ নিতে হবে। আত্মীয়ের ভিসায় গেলে স্টাম্পে লিখিত নিতে হবে।
৫. স্বাস্থ্য পরীক্ষা (মেডিকেল চেকআপ) করতে হয়।
৬. বিদেশে গিয়ে যে কাজ করবেন সেই কাজের প্রশিক্ষণ নেয়া দরকার।
৭. যে দেশে যাবেন সেই দেশের ভাষা জানা দরকার।
৮. বি.এম.ই.টি অবস্থিত ৮৯/২ কাকরাইল,ঢাকা-১০০০ এই ঠিকানায়। বি.এম.ই.টি র ইমিগ্রেশন সেকশন থেকে আপনার ভিসা, পাসপোর্ট ও বিমানের টিকেট যাচাই করে নেওয়া উচিত।
৯. যে দেশে যাচ্ছেন সেই দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের ঠিকানা ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করা দরকার।
১০. চুক্তিপত্র সাক্ষরের আগে বেতন, কাজের ধরণ, থাকা খাওয়া, চিকিৎসা, চাকরির মেয়াদকাল ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে ভালো ভাবে জানা দরকার।
১১. পাসপোর্ট, ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট, টিটিসি ট্রেনিং সার্টিফিকেট, ব্যাংক একাউন্ট ও অন্যান্য দরকারি কাগজপত্র ২সেট ফটোকপি করে এক সেট নিজের কাছে রাখুন। আরেক সেট পরিবারের কাছে রাখুন।
এইচএন/এমএস