পড়ুন, ৫ মিনিটও লাগবে না পড়তে


প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৫

মজা লস Moja losss নামে ফেসবুকের একটি লাইক পেজে শিশুসহ এক নারীর একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে। এতে পাঠককে সম্পূর্ণ ঘটনাটি বোঝার জন্য অনুরোধ করে বলা হয়েছে পড়ুন, ৫ মিনিটও লাগবে না পড়তে।

পোস্টটিতে শিশুসহ এক নারীকে নিয়ে লেখা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে ছবিতে শিশুটিকে চুরি বা অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে ওই নারী। যা তার গতিবিধিই প্রমাণ করে।

পাঠকের জন্য মজা লস Moja losss থেকে সর্ম্পূণ স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো :

ছবির শিশুটি কার?
Statistics বলে ঢাকা শহরেই প্রতিদিনই অনেকে নিখোঁজ হয় যার বেশিরভাগই শিশু। আমাদের কাছে আজকে একজন মেয়ে message পাঠালেন যা পড়ে মনে হচ্ছে তার চোখের সামনে এরকম আরেকটি শিশু চুরি/পাচার/অপহরণের ঘটনা ঘটে গেলো! ঘটনাটির বিস্তারিত পড়ার আগে জেনে নেই কেন আমাদের একবার হলেও পড়ে দেখা উচিত। ছবির এই ঘটনাটি ঘটে রাজধানীর নীলক্ষেত থেকে ছাড়া একটি পাবলিক বাসে, হতে পারে বাচ্চাটি আশেপাশের এলাকার, যেমন আজিমপুর অথবা ধানমন্ডি? ৫ মিনিটও লাগবে না পড়তে!

Message এ পাঠানো ঘটনার বিস্তারিত:

`` গতকাল নীলক্ষেত থেকে ফেরার পথে বাসে একজন মহিলা ও তার বাচ্চাকে দেখছিলাম, কিছুটা অবাক হয়ে আমার (যিনি আমাদের মেসেজ করেছেন) সামনে চোখ পরল একটি মহিলা ও একটি ফুটফুটে বাচ্চার দিকে... সারাক্ষণই মহিলার আচরণ অস্বাভাবিক লাগছিলো। বাচ্চাটাকে খেয়াল করার পর আরো খটকা লাগলো কারণ কিছুতেই এই বাচ্চার সাথে মহিলার কোন মিল নেই। যে কয়েকটি কারণে খটকা লেগেছে - মহিলা খুব অস্থির ছিল। বাচ্চাটা অস্বাভাবিক ভাবে ঘুমাচ্ছিল, হঠাৎ উঠে কান্না শুরু করলে মহিলা খুব বাজে ভাবে কান্না থামানোর চেষ্টা করছিল (বাচ্চাটাকে প্রায় জোর করে খামচিয়ে ধরে কান্না থামাচ্ছিল মহিলাটি, পারলে বাচ্চাটার হাত দুটা ভেঙে ফেলে) মহিলার সাথে অনেকবার কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু উনি কোন কথা বলেনি, বাচ্চাটা বারবার কান্না করে বলছিল আম্মুর কাছে যাব, মোটেও মহিলাটার কোলে থাকতে চাইছিল না । বাবুটা শুদ্ধ বাংলায় কথা বলছিল কিন্তু মহিলাটা `আঞ্চলিক টানে` কথা বলছিলো। মহিলার হাতে একটা পানির বোতল ছিলে যা বেশী কান্না করলেই খাওয়ানো হচ্ছিল আর বাচ্চা ঘুমিয়ে পরছিল অস্বাভাবিক ভাবে । মহিলার মাঝে মাতৃসুলভ কোন আচরণ ছিল না... আমার (যিনি আমাদের মেসেজ করেছেন) আর আমার বান্ধবির বার বার মনে হচ্ছিলো বাচ্চাটা চুরি করা। বাস থেকে তার পিছু নিলাম মহিলা টা মনে হয় বুঝতে পেরেছিল । খুব তাড়াতাড়ি করে মহিলাটা ঊত্তারার আজমপুর এর ওভার ব্রিজ দিয়ে ওইপারে চলে গেল । আমার নিজেকে খুব অপরাধি লাগছে কেন পুলিশ এর কাছে গেলাম না , কিন্তু জানি গেলে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যেত। আপনাদের পেজ অনেকে দেখে, জানিনা কাজ হবে কিনা টাও আপনাদের জানালাম। কোথায় আছে এই বাচ্চাটা? ``

আমরা আশা করছি আমাদের ধারনা ভুল হোক, কিন্তু তার জন্য আমাদের এই শিশুটির মা কে খুঁজে বের করে করা দরকার। তার শিশুটি এখন কোথায় যে ঠিক এরকম দেখতে?

কতই না হাবিজাবি `জিনিস` আমরা প্রতিদিন Facebook এ শেয়ার করি। হয়তবা Facebook দিয়ে এই ধরনের সমস্যার permanent solution করা যাবে না, Post টা শেয়ার করলে কোন Telecom Company হয়তোবা iPhone 6 জেতার সুযোগ দিবে না, কিন্তু একটা হলেও তো সমাধান করা যাবে - আর কিছু না হোক আমাদের চোখ আরও বেশী `খোলা` থাকবে, সচেতনতা বাড়বে একটু হলেও! smile emoticon

** শুধু আমার এই Moja losss? page এ ঢাকা থেকে fans আছেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ, সর্বমোট সোয়া ৫ লাখের উপরে, Facebook এর হিসাব মতে আমাদের page এর reach প্রায় ২০ লাখ! হতে পারে আমাদের ধারনা সত্য, আমাদের শেয়ার করার কারনে এই শিশুতির প্রকৃত মা জেনে গেল তার পরিচিতজনের মধ্যে কে ঘটনার সাথে জড়িত? আমরা আপনাদের সাহায্যে এর আগে চেহারা দেখা যায় না এমন youtube ভিডিওর clue ধরে মাত্র ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক Eve-teaser কে খুঁজে বের করেছিলাম। আরেকবার চেষ্টা করতে ক্ষতি কি?
আমরা চাই আমাদের সন্দেহ ভুল হোক!

এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।