চলতি বছরেই মালয়েশিয়া যাচ্ছেন ৫ লাখ কর্মী


প্রকাশিত: ০৪:২১ এএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
ফাইল ছবি

মাত্র ৩৪ হাজার থেকে ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ে এ বছর মালয়েশিয়া যাবেন ৫ লাখ কর্মী। এদের বেশিরভাগ কাজ করবে প্লানটেশন ও ফ্যাক্টরি সেক্টরে।  

চুক্তি মোতাবেক কর্মস্থলভেদে মাসে তারা ন্যূনতম ৮০০ থেকে ৯০০ রিঙ্গিত (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৫ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকা) মজুরি পাবেন।

গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বেসরকারি রফতানিকারকদের যুক্ত করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় (জি টু জি প্লাস) বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে হওয়া সমঝোতা চুক্তির আওতায় কর্মী যাওয়ার এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।

চুক্তি অনুযায়ী গত বছরের জুনের মধ্যে কর্মী যাওয়া শুরুর কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত একজন কর্মীও যেতে পারেননি। তবে দেরি হলেও চলতি মাসের মধ্যে কর্মী যাওয়া শুরু হবে বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম শামছুন্নাহার।

তিনি জানান, ন্যূনতম খরচে মালযেশিয়া কর্মী পাঠানোর পক্রিয়ায় অনেক জটিলতা ছিল। ওসব জটিলতা ও বাধা অতিক্রম করে আমরা এ মাসেই প্রথম গ্রুপটি পাঠাচ্ছি।

তিনি জানান, প্লান্টেশন খাতের পাশাপাশি সেবা, নির্মাণ, কৃষি, ম্যানুফ্যাকচারিং  খাতেও এবার মালয়েশিয়ায় কর্মী যাবে।

জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) নেতাদের আশঙ্কা, নতুন প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু এজেন্সির মাধ্যমে ‘সিন্ডিকেট’ হওয়ার সুযোগ থাকছে।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ভাণ্ডারে নিবন্ধিত কর্মীর তালিকার মধ্য থেকে এবার কর্মী পাঠানো হবে। বর্তমানে প্রায় ২২ লাখ কর্মী এই তথ্যভাণ্ডারে নিবন্ধিত। জি টু জি প্লাস অনুযায়ী, কর্মী পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়াটি হচ্ছে অনলাইনে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তি মোতাবেক ১৫ লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠানো গেলে রেমিট্যান্স থেকে আয় বাড়বে আরো ১০ শতাংশ।

আরএম/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।