ক্রিকেটারদের যত কেলেঙ্কারি
মাঠের ভেতরে ক্রিকেটারদের জেন্টলম্যান বলা হলেও মাঠের বাহিরে রয়েছে ম্যাচ ফিক্সিং, যৌন কেলেঙ্কারি, দুর্ব্যবহার আর প্রেমিকাদের নিয়ে তো গুঞ্জন রয়েছেই।
বাইশ গজে ক্রিকেটাররা যেমনই হোক না কেন, এর বাহিরে কিছু ক্রিকেটারদের রয়েছে যৌনতার হাতছানি। কখনও প্রকাশ্যে কখনও বা গোপনে। কিন্তু যৌনতার হাতছানিকে উপেক্ষা করতে পারেননি তাঁরা। এ ব্যাপারে সবার উপরে শেন ওয়ার্ন৷ খেলার পাশাপাশি বিছানাতেও অসাধারণ কারিশমা দেখিয়েছেন ওয়ার্ন৷ কিংবদন্তি এই অজি স্পিনারের ক্যারিয়ারে যৌন কেচ্ছা লেগেই থাকত৷ যদিও তা নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবতে নারাজ ওয়ার্ন।
বছর পনেরো আগের ঘটনা আজও টাটকা। সে সময় স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়া দলের ডেপুটি ছিলেন ওয়ার্ন৷ এক ব্রিটিশ নার্সকে ফোন করে অশ্লীল কথা বলাই নয়, নোংরা এসএমএস করতেও পিছপা হননি তিনি।
এর ঠিক তিন বছর পরেও ফের যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়ান ওয়ার্ন। ২৫ বছরের একজন মডেলের সঙ্গে বিছানায় দেখা যায় স্পিনের এই জাদুকরকে৷ যা দেখে সেই মডেলও শেনের ফিটনেসের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ শোনা যায়, শেনের মাঠের সাফল্যের কারণই মহিলা সঙ্গ৷ একই রাতে একাধিক মহিলাকে শয্যাসঙ্গী করাও ছিল ওয়ার্নের নেশা।
কেভিন পিটারসেন ইংল্যান্ডের মারকুটে ব্যাটসম্যান। ভ্যানিসা নিমোর সঙ্গে এক মাস সহবাস করে তাঁকে ভুলে যান৷ ভ্যানেসা জানিয়েছিলেন, কেপি তাঁকে দিনের মধ্যে বহুবার যৌনমিলনের জন্য জোর করতেন।
এসব থেকে বাদ যাননি নিউজিল্যান্ডের স্পিডস্টার ড্যারেল টাফি৷ ২০০৫-এ ২৩ বছরের এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর সেক্স ভিডিও ফাঁস হয়ে যায়৷ যদিও পরে ওই মহিলা টাফিকে চেনেনা বলেই দাবি করেন।
পাকিস্তান দলের প্রাক্তন সেরা তিন কিংবদন্তি ওয়াসিম আক্রাম, সাকলাইন মুস্তাক ও শহীদ আফ্রিদিরও নাম জড়ায় এ ব্যাপারে। ২০০০-এ করাচির এক হোটেলে এক ঝাঁক তরুণীদের মাঝে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায় আফ্রিদিকে৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন হাসান রাজা ও আতিক উল জামান।
যদিও পরে আফ্রিদিদের বক্তব্য ছিল যে করাচির হোটেলে মেয়েরা তাঁদের অটোগ্রাফ নিতেই এসেছিল৷ নব্বইয়ের দশকের শেষে ওয়াসিম ও সাকলিন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিলেন৷ ওখানকার বিখ্যাত স্ট্রিপ ক্লাবে তাঁদের যাওয়ার কথা প্রকাশ্যে চলে আসে।
এমআর/আরআইপি