মৌমাছির কামড়ে মৃত্যুশয্যায় কৃষক
পাঁচটি নয়, দশটি নয়, একটি মৌমাছির হুলের বিষেই মৃত্যুশয্যায় আলমডাঙ্গার পলি সোনাতনপুরের মধ্যবয়সী কৃষক অভিমান্য বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মশারির ভেতর ঘুমিয়ে থাকা অভিমান্য বিশ্বাসকে হুল ফোটায় মৌমাছি। এতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। রাতেই তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। মধ্যবয়সী কৃষকের এই দূরাবস্থা দেখে কৌতূহলী অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলেন, একটি মৌমাছির হুলেই এতো বিষ?
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৈয়দ কবির জন বলেছেন, মৌমাছির হুলে বিষের চেয়ে রোগীর অ্যালার্জিক হাইপার সেনমিটিভেট রিঅ্যাকশন থাকায় এ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। এ সমস্যায় ভোগা রোগীকে শুধু মৌমাছির হুলের বিষেই নয়, যেকোনো কীটপতঙ্গের সামান্য বিষেই মৃত্যুর ঝুঁকি শতকরা ৯৯ শতাংশ থাকে। সে কারণেই রোগী অভিমান্য বিশ্বাসকে নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারছি না।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ সোনাতনপুরের স্বর্গীয় জোলি গোপাল বিশ্বাসের ছেলে অভিমান্য বিশ্বাস একজন প্রান্তিক কৃষক। তিনি বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে মশারির নিচে ঘুমোতে যান। এ সময় তার শরীরে হুল ফোটায় একটি মৌমাছি। এতেই ছটফট শুরু করেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুন্সিগঞ্জের একটি ক্লিনিকে নেন। সেখান থেকে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সদর হাসপাতালে নেয়া হলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হলেও রোগীর অবস্থা ক্রমশ অবনতির দিকে যেতে তাকে।
অক্সিজেন দিয়েও রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস যেন স্বাভাবিক করা যাচ্ছিল না। মুখ দিয়ে ঝরছিলো লালা। শুক্রবার সকাল থেকে অভিমান্য বিশ্বাস’র অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এমজেড/পিআর