‘ভালোবাসায়’ চাপা পড়েছে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস


প্রকাশিত: ০৪:৩৯ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

১৪ ফেব্রুয়ারি। স্বৈরাচার প্রতিরোধ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ১৯৮৩ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী জমায়েত ডাকে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। মজিদ খানের কুখ্যাত শিক্ষানীতি প্রত্যাহার, বন্দী মুক্তি ও জনগণের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে এই জমায়েতের ডাক দেয়া হয়।

জমায়াতে তৎকালীন স্বৈরাচার এরশাদ সরকার হামলা চালায়। তবে হামলার প্রতিরোধ গড়ে তোলে ছাত্র জনতা। সেই থেকেই এই দিনটি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে স্বীকৃত।

অপরদিকে এই দিনটি সারা বিশ্বে ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে ১৯৯৩ সালের দিক থেকে দিনটি উদযাপিত হয়ে আসছে। মূলত সাংবাদিক শফিক রেহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস উদযাপন শুরু।

তরুণ-তরুণীর কাছে ভালোবাসা দিবস ব্যাপক উচ্ছাসের একটি দিন হয়ে ওঠায় চাপা পড়ে গেছে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এক সামরিক অভুত্থানের মাধ্যমে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন। কেউ কেউ এরশাদের এমন ক্ষমতা গ্রহণ মেনে নিলেও ছাত্রজনতা এ সামরিক অভ্যুত্থান মেনে নেয়নি। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়। ধীরে ধীরে আন্দোলন বেগ পেতে থাকে। বিশেষত ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার বিরোধী মিছিলে পুলিশের গুলিতে ছাত্র নিহত হওয়ার পর দেশব্যাপী আন্দোলন আরো চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

এমএসএস/এনএফ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।