বাল্যবিয়ের বিশেষ বিধান ছেলেদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য


প্রকাশিত: ১২:১৯ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
ফাইল ছবি

বহুল আলোচিত বাল্যবিয়ের বিষয়ের প্রস্তাবিত আইনে পরিবর্তন এনেছে সংসদীয় কমিটি। পরিবর্তিত বিল অনুযায়ী বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধান শুধু মেয়ে নয়, ছেলেদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

বাল্যবিবাহ নিরোধ বিল ২০১৭ যাচাই-বাছাই করে এ সুপারিশ করেছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি সংসদে উত্থাপন করেন কমিটির সভাপতি রেবেকা মোমিন। এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।

বিলটি গত ৮ ডিসেম্বর সংসদে উত্থাপন হয়েছিল। বিলটি উত্থাপনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে কমিটিতে পাঠানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের উত্থাপিত বিলের ১৯ দফায় বলা হয়েছে, এ আইনের অন্যান্য বিধানে যা কিছু থাকুক না কেন, বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো নারীর সর্বোত্তম স্বার্থে আদালতের নির্দেশক্রমে এবং মাতা-পিতার সম্মতিক্রমে বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিয়ে সম্পাদিত হলে তা এ আইনের অধীন অপরাধ বলে গণ্য হবে না।

এ ক্ষেত্রে সংসদীয় কমিটি ‘কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো নারীর’ শব্দগুচ্ছ বাদ দিয়ে ‘বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে অপ্রাপ্ত বয়স্কের’ এবং ‘মাতা-পিতা’ শব্দের পরিবর্তে ‘পিতা–মাতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের’ শব্দগুচ্ছ যোগের সুপারিশ করেছে। অর্থাৎ সংসদ সংসদীয় কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করলে নারীর পাশাপাশি পুরুষের ক্ষেত্রেও বিশেষ প্রেক্ষাপটের বিধান প্রযোজ্য হবে।

প্রস্তাবিত আইনে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স আগের মতো ১৮ বছর রাখা হলেও ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ের সুযোগ রাখা হয়। তবে এ কারণে দেশে বাল্যবিয়ের প্রকোপ বেড়ে যাবে আশঙ্কা করে তা বাতিলের দাবি তুলেছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, বিরোধিতাকারীরা বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞান। সমাজ বাস্তবতার কথা বিবেচেনায় রেখেই এ আইন করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ আমলে প্রণীত ‘চাইল্ড ম্যারেজ রেসট্রেইন্ট অ্যাক্ট-১৯২৯’ বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি সংসদে তোলা হয়।

এইচএস/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।