দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ৫ কোটি ৬৭ লাখ


প্রকাশিত: ০১:৪৯ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৫

বাংলাদেশে ১৫ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ৫ কোটি ৬৭ লাখ বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে এ তথ্য জানান।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত লেবার ফোর্স, সার্ভে, ২০১০ (এলএফএস-২০১০) এর হিসাব অনুযায়ী উল্লেখিত কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৬ লাখ কর্মহীন বা বেকার ছিল, যা মোট শ্রমশক্তির ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

মন্ত্রী বলেন, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১৫ বছর বয়স থেকে ২৪ বছর পর্যন্ত শ্রমশক্তির পরিমাণ হচ্ছে ২ কোটি ৯ লাখ এবং বেকারত্বের হার অধিকাংশ তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই বিদ্যমান। বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩ দশমিক ২ শতাংশ হারে শ্রমশক্তির বৃদ্ধি এবং কৃষি ও অনানুষ্ঠানিক সেবা খাতে উচ্চমাত্রার ছদ্মবেশী কর্মসংস্থান থাকার প্রেক্ষিতে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উৎপাদনশীল আনুষ্ঠানিক খাতে নতুন কর্মসংস্থান তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

মুহিত বলেন, ২০১৫ সাল নাগাদ শিল্প খাতের কর্মসংস্থান ১৭ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে উন্নীত করার মাধ্যমে শ্রমবাজারে নবাগতদের জন্য উচ্চ মজুরীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা মেয়াদে ২০১০-২০১১ অর্থবছর থেকে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৪ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃস্টির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যা চাকরির বাজারে নবাগত প্রায় ৯২ লাখের সবাইকে আত্মীভূত করার জন্য যথেষ্ট সহায়ক হবে। এছাড়াও, কৃষি থেকে প্রায় ১২ লাখ শ্রমিককে এ খাতগুলোতে আত্মীভূত করা সম্ভব হবে।

এছাড়া প্রতিবছর প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ শ্রমিক কাজ নিয়ে বিদেশে যাচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে প্রতি শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে প্রায় শূন্য দশমিক ২৫ মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এ হিসাবে বিগত অর্থবছর ১০ থেকে অর্থবছর ১৪ পর্যন্ত দেশে ৭ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন নতুন অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বর্তমান সরকারের সমন্বিত প্রয়াসের ফলে উল্লেখিত সময়ে ২ দশমিক ৪১ মিলিয়ন বাংলাদেশি কর্মী কর্মসংস্থান নিয়ে বিদেশে গমন করতে পেরেছে অর্থাৎ দেশে ও বিদেশে মিলে মোট ১০ দশমিক ০৮ মিলিয়ন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা মেয়াদে (২০২৬-২০২০) কর্মসংস্থানের প্রাক্কলিত গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ৫ বছরে নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ১ কোটি ৩২ লাখ। ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মকৌশল গ্রহণের বিষয়টি দলিলে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হবে। জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি গুণগতমানে বৃদ্ধি পেলে দেশে আয় বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। ২০২০ সাল নাগাদ প্রক্ষেপিত দারিদ্র্য হার হবে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ, যা দেশে বিদ্যমান বেকারত্বের হার কমিয়ে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।

আরএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।