বেতন পর্যালোচনায় দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ল
বেতন ও চাকরি কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিরূপণে গঠিত কমিটিকে দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। আগামী ১৩ মের মধ্যে এই কমিটিকে বেতন ও চাকরি কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিরূপণে প্রতিবেদন দিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ওই কমিটিকে সময় বাড়িয়ে সোমবার আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর আগে গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে এই কমিটিকে চার সপ্তাহের সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়, যা গত ১৭ মার্চ শেষ হয়েছে।
সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ও সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২০০ টাকা মূল বেতন ধরে গত ২১ ডিসেম্বর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো সুপারিশ করে বেতন ও চাকরি কমিশন। প্রায় এক বছর ধরে কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনের সদস্যরা ওইদিন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। বেতন কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিরূপণে প্রতিবেদন দিতে গত ১ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি করে সরকার। তখন ওই কমিটিকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বেতন কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিরূপণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এরপর এই কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় দুই দফা বাড়ানো হল।
কমিটিতে সদস্য হিসাবে রয়েছেন অর্থ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবরা এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব। ‘সশস্ত্রবাহিনী বেতন কমিটি, ২০১৩ এর প্রতিবেদন দাখিলের পর তাও পর্যালোচনা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বের কমিটিকে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দিতে বলা হয়। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা করছে অর্থ বিভাগ।
এসআরজে