চিংড়ি নীতিমালার খসড়া অনুমোদন


প্রকাশিত: ০২:২৯ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৪

চিংড়ি খাতে উৎপাদন ও রপ্তানী বৃদ্ধির লক্ষ্যে `জাতীয় চিংড়ি নীতিমালা-২০১৪`র অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা জানান।

তিনি জানান, এই নীতি বাস্তবায়নের সঙ্গে দেশে চিংড়ি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গুনগত মানেরও উন্নতি হবে, যা চিংড়ি খাতের সম্প্রসারণ, চাকরি সুযোগ ও রপ্তানী আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের পুষ্টির চাহিদা পূরণের সহায়ক হবে।

তিনি আরও জানান, দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে চিংড়ি খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখাতে নারীসহ প্রায় দেড় কোটি মানুষ সম্পৃক্ত। গত অর্থবছরে এ খাত থেকে ৩ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা অর্জিত হয়েছে। ১৯৯৮ সালে চিংড়ি খাত জাতীয় মৎস্য নীতির অন্তর্ভূক্ত হলেও চিংড়ি সম্পর্কিত নির্দেশনাবলী পর্যাপ্ত হিসেবে পরিগণিত হয়নি। এজন্য একটি সার্বিক নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজন দেখা দেয়।

ভূঁইয়া বলেন, এ নীতি প্রণয়নে চিংড়ি শিল্পের উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ, মান নিয়ন্ত্রণ, জীব বৈচিত্র্যের সংরক্ষণ, শস্য বহুমুখীকরণ, শস্য আবর্তন এবং ভূমি ও শস্য বিভাজন ও গবেষণাসহ চিংড়ি খাতকে সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করা হয়েছে।

এছাড়া গত ২৮ ও ২৯ মে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনের ১৭তম অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যোগদান এবং ৯ থেকে ১৩ জুলাই রোমে কফি (কমিটি অব ফিশারিজ)-এর ৩১তম সম্মেলনে মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রীর যোগদান বিষয় বৈঠকে অবহিত করা হয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।