ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি


প্রকাশিত: ১১:১১ এএম, ২৮ মার্চ ২০১৫

আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সুফল পেতে শুরু করেছেন ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের কৃষকরা। এক সময় গম ও ধান কাটা মাড়াইয়ের জন্য কাস্তেই ছিল প্রধান অস্ত্র।

এখন বদলে গেছে সে দৃশ্যপট। মাঠে মাঠে এখন পৌঁছে গেছে গম ও ধান কাটার যন্ত্র। কৃষকদের কাছেও ধান কাটিং মেশিন (রিপার) জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

যন্ত্রের সাহায্যে গমও ধান কাটলে সময় এবং খরচ দুই কমছে কৃষকের। মুহূর্তেই প্রচুর পরিমাণ ফসল কাটা যাচ্ছে। ফসল কাটার খরচও কমেছে বহুগুণে।

দুর্যোগের হাত থেকে ফসলকে রক্ষা করতে রিপার মেশিন দিয়ে মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে গম কাটার কাজ।

কৃষকরা জানান, রিপার মেশিন দিয়ে একসঙ্গে ছয় সারির গম ও ধান কাটা যায়। এক একর জমির ফসল কাটতে সময় লাগছে মাত্র এক ঘণ্টা। যন্ত্র চালাতে একজন শ্রমিক ও এক লিটার পেট্রলই যথেষ্ট।

কৃষকরা আরো জানান, সাধারণভাবে এক একর জমির ফসল কাটতে একজন কৃষকের খরচ ৩৩৫ টাকা। আর ঘণ্টায় ১ একর জমির ধান কাটতে শ্রমিক লাগে ২০ জন। প্রতিজন শ্রমিকের পারিশ্রমিক হিসেবে ২৫০ টাকার পরিমাণ গম বা ধান দিতে হয়।

এক্ষেত্রে রিপার যন্ত্র দিয়ে ফসল কাটায় শ্রমিকের খরচ কম হওয়ায় কৃষকদের একর প্রতি ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।

কৃষি বিভাগ জানান, জেলার ১ লক্ষ ৫২ হাজার হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে গমের আবাদ হয়েছে ৬৫ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে। আর এ থেকে গম উৎপাদন হবে ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিকটন। যা সারাদেশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চার ভাগের ১ একভাগ গম ঠাকুরগাঁও জেলা থেকেই উৎপাদন হচ্ছে। তাই গম কাটা মাড়াই কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামাঞ্চলের কৃষাণ-কৃষাণীরা।

আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে জেলার কৃষকরাও অত্যাধুনিক মেশিন ব্যবহার করে গম কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করছেন।

এসিআই মটরস্ কোম্পানি ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা রিপার যন্ত্র চলতি বোরো মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন এলাকার মাঠের কৃষকদের কাছে ভাড়ায় সরবরাহ করেছে।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী বলেন, ‘রিপার যন্ত্রের সুবিধা হচ্ছে গম ও ধানের গাছের গোড়া থেকে কাটা যাওয়ার কারণে খড়ের কোনো ক্ষতি হয় না। কম সময়ে বেশি ফসল কাটার জন্য দুর্যোগের সময় ফসল রক্ষা পায়। রিপার মেশিন কৃষি শ্রমিক সংকট দূর করে।’

এমজেড/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।