দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে যা করবেন


প্রকাশিত: ০৭:০৬ এএম, ২৮ মার্চ ২০১৫

মাথা থাকলে চিন্তা থাকবে। আর চিন্তা মানে বেশিরভাগ সময়েই দুশ্চিন্তা। কী কাজের চাপ, কী অবসর- দুশ্চিন্তার জন্য আলাদা কোনো সময় লাগে না। যেকোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা থাকা খারাপ নয়, তবে তা যদি অতিরিক্ত অর্থাৎ দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় তখন সমস্যা। দুশ্চিন্তা আপনাকে অভীষ্ট লক্ষ্য থেকে দূরেও নিয়ে যেতে পারে অনেক সময়! তাই চলুন জেনে আসি দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে আপনার করণীয়-

১. কমলালেবুর খোসা ছাড়ান বা একটুকরো পাতিলেবুর গন্ধ নিন প্রাণভরে। বিভিন্ন সময়ে করা সমীক্ষা বলছে, লেবুর টক গন্ধ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

২. বেশিক্ষণ না, মাত্র ছয় থেকে সাত মিনিটের জন্যে গল্পের বই পড়ুন। দেখবেন নিমেষে দুশ্চিন্তা উধাও।

৩. অ্যাভোকাডো এখন যে কোনও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ফলের সেকশনে পাওয়া যায়। এতে মজুত মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং পটাশিয়াম ব্লাড প্রেশার কমাতে সাহায্য করে।

৪. যদিও কংক্রিটের এই শহরে সবুজ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন, তবুও এখনও যে কয়েকটি জায়গায় গেলে সবুজের দেখা মেলে, দুশ্চিন্তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ কাটিয়ে আসুন।

৫. যে বন্ধুটি আপনার সব থেকে প্রিয়, তাঁর সঙ্গে ভাগ করে নিন দুশ্চিন্তার কারণ। দেখবেন নিজেকে অনেকটাই হালকা লাগছে।

৬. নিজের নিঃশ্বাসের উপর মনোনিয়োগ করুন। দেখবেন ভালো লাগছে।

৭. ঘুমের থেকে ভালো স্ট্রেস বাস্টার আর কিছু হতে পারে না। তাই যখন কোনও কিছুই আর ভালো লাগবে না, বা মনে হবে কোনও কিছুতেই মন দিতে পারছেন না, তখন একটু নিরিবিলি জায়গা দেখে ঘুমিয়ে নিন।

৮. মিউজিক থেরাপির কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন। স্ট্রেস কমাতে এর মতো ভালো অপশন বিশেষ কিছু নেই। খুব দুশ্চিন্তার সময়ে ভালো ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক শুনুন।

৯. জীবনের প্রতি পদে কোনও না কোনও সমস্য আসবেই। কিন্তু তা বলে গোমড়া মুখে থাকবেন না। প্রাণ খুলে হাসার অভ্যেস করুন। প্রাণ খোলা হাসি আপনাকে এবং আপনার চারপাশের মানুষজনকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।

১০. প্রাচীনকাল থেকেই মেডিটেশনকে দুশ্চিন্তা কমানোর ম্যাজিক ড্রাগ বলে মনে করা হয়। নিয়মিত মেডিটেশন করা অভ্যেস করুন। সহজে স্ট্রেস ও টেনশন আপনাকে কাবু করতে পারবে না।

এইচএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।