সার্চ কমিটিকে যা পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট নাগরিকরা


প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৭

নির্বাচন কমিশন গঠনে দেশের বিশিষ্ট ১২ নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সার্চ কমিটি। সোমবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা বলেন,  এমন একটা কমিশনের প্রস্তাব করা উচিত, যেটা মানুষের মনে প্রাথমিকভাবে আস্থা সৃষ্টি করতে পারে। শুরুতেই যদি অনাস্থাভাব আসে তাহলে সে কমিশনের  কাজ করা অসুবিধা।   

তিনি আরও বলেন, পলিটিক্যাল একটিভিস্ট হলে অনাস্থার সৃষ্টি হয়। কারণ দেশের রাজনীতি বিভাজিত।তবে সকলেরই একটা পলিটিক্যাল মতাদর্শ থাকে। কিন্তু এমন হতে হবে যে তারা অতীতে কিংবা কর্মজীবনে কোন ধরনের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন না। অর্থাৎ তারা কোন পার্টির পোস্ট হোল্ড করেনি। তারা কখন নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কারো কাছে নমিনেশন চায়নি। কিংবা অন্যান্য প্রোফেশনাল সংগঠনের সঙ্গে কখনও জড়িত ছিল না।

সুলতানা কামাল বলেন, কে কমিশনে যাবেন সে নাম প্রস্তাবের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সার্চ কমিটির। আলোচনার মূল উদ্দেশ্য একটা ধারণা নেয়া যে মানুষ কোন ধরনের লোকদের  কমিশনে দেখতে চাইছে। কিছু মানুষের আস্থার সংকট আছে। আস্থার সংকটের উপর দাঁড়িয়ে যদি আমরা চলতে থাকি তাহলে কখনই সামনে এগুতে পারবো না। আজকে একটা সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। যে সংকটের কথা এতদিন বলা হচ্ছিল সেটাও অনেকটা প্রশমিত হয়েছে।  

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, পরামর্শ দিয়েছি অনেক ইন্ট্রিগ্রিটিওয়ালা লোক যাদের অতীত ব্যাকগ্রাউন্ডে দেশপ্রেম, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও ত্যাগ-তীতিক্ষার নজির রেখেছে। যাদেরকে মানুষ গ্রহণযোগ্য মনে করে।তাদেরকে সিলেক্ট করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, সরকার যে গেজেট জারি করেছে, সংবিধানে যা বলা আছে সেই ভিত্তিতে কথা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছি, আইন প্রণয়নের সুযোগ এখনও আছে। আইন তৈরি করলে ভালো হবে।

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কতগুলো সুস্পষ্ট যোগ্যতার মানদণ্ডের ভিত্তিতে তারা যেন লোক বাছাই করে। রাজনৈতিক দল থেকে পাঁচজন করে নাগরিকদেরও সেই সুযোগ দেয়া উচিত। প্রক্রিয়াটা স্বচ্ছ হওয়া উচিত। একটা শর্ট লিস্ট প্রকাশ করে পাবলিক হেয়ারিং করা উচিত। কি যোগ্যতার ভিত্তিতে ব্যক্তিগুলো নির্ণয় করা হলো এবং আমাদের মতামত বিবেচনায় নিলো সেটাও তাদের ফাইনাল রিপোর্টে জানানো উচিত। মানদণ্ড সুস্পষ্ট এবং প্রক্রিয়া যদি স্বচ্ছ হয় তাহলে অধিকাংশ জনগণের আস্থা অর্জিত হবে।

স্থানীয় সরকার গবেষক ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, সার্চ কমিটিকে যোগ্যতা নির্ণয়ের কিছু মাপকাঠি দিয়েছি। তারা আবার নিজেরা বসে  আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এইউএ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।