নারায়ণগঞ্জে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু


প্রকাশিত: ০৩:৫৮ এএম, ২৭ মার্চ ২০১৫

নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসবে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও সাতজন নারী।

শুক্রবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া।

নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হয় অষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসব। যাবতীয় সংকীর্নতা ও পঙ্কিলতার আবরণে ঘেরা জীবন থেকে পাপমুক্তির বাসনায় হিন্দু পুণ্যার্থীরা ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমী স্নান শুরু করেন। সকাল সোয়া ৯টার দিকে ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যুর পর স্নান করতে আসা লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই স্নান না করেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

অন্যবারের তুলনায় এবার পানিতে অতিরিক্ত কচুরিপনা ও কাদামাটি থাকায় স্নান করতে আসা লোকজন চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

সকাল সোয়া ৯টার দিকে লাঙ্গলবন্দ বাজার এলাকাতে একটি সরু সেতুর এক ঢালে লোকজনের চাপে কয়েকজন মাটিতে পড়ে যায়। ওই সময়ে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হতে থাকে একের পর এক লোক। এতে অন্তত ৪০ জনের মতো আহত হন। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই মারা যান ১০ জন।

নিহতরা হলেন মাদারীপুরের নিতাই চন্দ্র দাশ ও বাবুল বিশ্বাস, কুমিল্লা জেলার চান্দিনার রঞ্জিত মল্লিক, দাউদকান্দির কানন বালা, মেঘনা থানার তুলসী দেবনাথ, রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলার ভগবতী দাশ, লালবাগের রাহী, মানিকগঞ্জের মালতী দাস, নোয়াখালীর কবিরহাটের ভানুমতি দাশ। এছাড়া ১১ বছরের এক মেয়ে রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। তার পরিচয় জানা যায়নি।

লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসবের সেক্রেটারি বাসুদেব চক্রবর্তী জানান, নিহতের পরিবারের লোকজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

শুক্রবার ভোর ৫টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড থেকে তিথি শুরু হওয়ার পরেই ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানে নামে হাজার হাজার হিন্দু পুণ্যার্থী। এবার শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই বৃহস্পতিবার রাতে এসেই বন্দরে স্নান উপলক্ষ্যে তৈরি বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান নেয়। স্নানোৎসব শেষ হবে শনিবার ভোর ৬টা ৫৯ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে।

এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।