৩৭ পদের ইলিশ রান্না, তবুও স্বাদ ফুরায় না
বাইরে বিক্রি হচ্ছে হরেক রকমের ইলিশ। ভেতরে রান্না ইলিশের ঘ্রাণ। হল রুমের ভেতর-বাহির সাটানো ব্যানার-ফেস্টুনে রূপার মতো চকচক করছে ইলিশের ছবি। ডকুমেন্টারিতে ইলিশের গুণগান। বক্তাদের বক্তব্যেও ইলিশ। চোখ ফেরালেই ইলিশ আর ইলিশ। মাছের রাজা ইলিশের মুখরোচক ৩৭ রকমের রান্না। তবুও যেন স্বাদ ফুরায় না।
শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন করা হয় প্রথম মতো ইলিশ মেলা। চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ ইলিশ মেলায় যেন ইলিশের কীর্তন ফুরায় না। জাতীয় মাছ ইলিশের সঙ্গে মেলায় সমস্বরে উচ্চারিত হয় জেলা চাঁদপুরের নামও।
মেলার বিশেষ আকর্ষণ ছিল ইলিশের মুখরোচক ৩৭ রকমের রান্না। টক-মিষ্টি ইলিশ, লবণ বেকড ইলিশ, অরেঞ্জ ইলিশ, ইলিশের কেপতা কারি, ইলিশ ডিমের কোপ্তা, ইলিশ কাসুন্দি, ইলিশ ডিম ঝুড়ি, ইলিশ দো পেঁয়াজো, ইলিশ ফ্রাই, আস্ত ইলিশ রোস্ট, ইলিশ পোলাও, ইলিশ কাবাব, ঘিয়ে ভাজা ইলিশ, আনারস ইলিশ, ইলিশ কোর্মা, ইলিশ মালাইকারি, সরষে ইলিশ, ইলিশ খিচুরিসহ আরও হরেক রকমের রান্না করা হয়।
মেলায় অংশ নেয়া অতিথিরা নৈশভোজে অংশ নেন ইলিশের এসব আয়োজনে। চাঁদপুর থেকে মেলায় এসেছিলেন আব্দুল লতিফ। চাঁদপুরে ইলিশের ব্যবসাও রয়েছে তার।
তিনি বলেন, মূলত চাঁদপুরের ইলিশের ব্র্যান্ডিং করতেই মেলায় এসেছি। সকলেরই দায় আছে। তবে মেলায় এসে ইলিশের নানা পদের রান্নার সঙ্গে পরিচিত হলাম। ইলিশের এত আয়োজনের রান্না হতে পারে তা জানা ছিল না। অনেক ভালো লাগলো।
মেসার্স মামুন ট্রেডার্স মিলনায়তনের বাইরে ইলিশের স্টল দিয়েছে। সুলভ মূল্যে ছোট বড় সকল ধরণের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে সেখানে। স্টলের মালিক আব্দুল মালেক খন্দকার বলেন, প্রায় ২৪ লাখ টাকার ইলিশ নিয়ে এসেছি। বিক্রিও হয়েছে বেশ। তবে মেলায় অংশ নিতে পারছি বলেই ভালো লাগছে। নিজ জেলার নামে ইলিশের ব্র্যান্ডিং হচ্ছে এবং তাতে শরিক হতে পারছি। নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।
মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
এএসএস/আরএস