গরমে চাই পোর্টেবল ফ্যান
বিদ্যুতের মেজাজ-মর্জি বোঝা দায়, এই আছে আবার এই নেই। গরমের এই সময়টাতে আইপিএস কিংবা জেনারেটরের উপর নির্ভর না করে কিনে ফেলতে পারেন একটি পোর্টেবল ফ্যান। বাজার ঘোরার আগে জেনে নিন ফ্যান কেনার আগে কোন কোন বিষয়গুলো যাচাই করে দেখবেন-
সবার আগে ঠিক করে নিন কোন আকারের ফ্যান আপনার চাই। পোর্টেবল ফ্যানের আকার সাধারণত ১২, ১৬ এবং ২০ ইঞ্চির হয়ে থাকে। ফ্যানের আকার যতো বড় হবে ফ্যানের গতি নিয়ন্ত্রণের অপশন ততো বেশি থাকবে। প্লাস্টিকের পাখাওয়ালা পোর্টেবল ফ্যান তুলনামূলক ভালো। স্টিলের পাখায় জং ধরার আশঙ্কা থাকে। অ্যান্টিক নকশার কিছু পোর্টেবল কিংবা টেবিল ফ্যানও বাজারে পাওয়া যায়, সেসবের পাখা থাকে পিতলের। নিয়মিত ব্যবহারের জন্য সেসব ভালো নয়।
বাক্সের গায়ে সিএফএম`র পরিমাণ দেখে ফ্যান কিনুন। সিএফএম হচ্ছে কিউবিক ফিট পার মিনিট। অর্থাৎ প্রতিবার ঘুর্ণনে কতো ফিট দূর পর্যন্ত ফ্যানের বাতাস যাবে তা এই কিউবিক ফিট পার মিনিটের মাধ্যমে বোঝা যাবে। যেমন, আপনি যদি চান আপনার ৮ ফুটের সিলিং এবং ২৫০ স্কয়ার ফিটের ঘরের জন্য একটি পোর্টেবল ফ্যান কিনতে তাহলে ২ হাজার সিএফএম সম্পন্ন ফ্যান কিনতে হবে। এভাবেই কিউবিক ফিট হিসাব করে ফ্যান কিনলে ফ্যানের ঘুরপাক আপনার জন্য হবে স্বস্তিদায়ক।
কিউবিক ফিট হিসাব করে ফ্যান কিনলে ফ্যানের ঘুরপাক আপনার জন্য হবে স্বস্তিদায়ক। কিউবিক ফিট হিসাব করে ফ্যান কিনলে ফ্যানের ঘুরপাক আপনার জন্য হবে স্বস্তিদায়ক।
ফিচার দেখে নিন ভালো করে। বর্তমানে বাজারে ডিজিটাল পোর্টেবল ফ্যানের চাহিদা অনেক বেশি। এসব সরাসরি ইলেকিট্রক কানেকশনেও চলে, আবার চার্জেও চলে। এসবের সঙ্গে থাকে নানান রকম ফিচার। যেমন থাকে প্রোগ্রামেবল টাইমার, অসিলেটিং লুভার্স, মাল্টিপল ফ্যান স্পিড, রিমোট কন্ট্রোল, অ্যাডজাস্টেবল ফ্যান অ্যাঙ্গেল/হাইট, ডিজিটাল কন্ট্রোল, ইওনাইজার (বায়ু পরিশোধনকারী ব্যবস্থা), মিস্টিং ক্যাপাবিলিটি। কেনার আগে দেখে নিন এসবের মধ্য থেকে ফ্যানে কোন কোন ফিচারগুলো রয়েছে এবং কোনো ফিচার সত্যিকার অর্থেই কার্যকর।
ফ্যান কেনার সময় এর সেফটি ফিচারগুলো ভালো মতো যাচাই করে নিতে হবে। দেখে নিন ফ্যানের গ্রিলগুলো রিমুভেবল কিনা। ইদানিং ডাবল লেয়ার গ্রিলওয়ালা পোর্টেবল ফ্যান মিলছে বাজারে। ডাবল লেয়ারের সুবিধা হলো এতে বাতাসের গতিবিধি নানান দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে এটি নিরাপত্তার দিক থেকে অনেকখানিই নিশ্চিন্তে রাখে ব্যবহারকারীদের।
এইচএন/আরআই