রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে : স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান বাংলাদেশ নয়, মিয়ানমারকেই করতে হবে। রোহিঙ্গাদের অবস্থা আমাদের মর্মাহত করে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার।
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আইপিইউ ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) যৌথ উদ্যোগে ‘জাতীয়তা এবং রাষ্ট্রহীনতা- সংসদ সদস্যদের জন্য হ্যান্ডবুক’-এর বাংলা সংস্করণ প্রকাশের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রহীনতা কোনো একক রাষ্ট্রীয় সমস্যা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আন্তর্জাতিক রাজনীতির মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করতে হবে। রাষ্ট্রহীনতা একটি মানবিক সমস্যা। সমস্যাটি ব্যক্তি, পরিবার এবং সামাজিক জীবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের সম্মিলিত উদ্যোগ এ সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি। সংসদ সদস্যরা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ দেশীয় আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রহীনতা সমস্যার সমাধানে ভূমিকা পালন করতে পারেন। রাষ্ট্রহীনতার বিষয়টি নির্ধারণের জন্য গভীর মনোনিবেশ ও আলাপ আলোচনা প্রয়োজন।
একইসঙ্গে তিনি রাষ্ট্রহীনতা সমস্যা সমাধানে সংসদ সদস্যদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আইপিইউ এর প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ এখন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কাজে এমপিরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। রাষ্ট্রহীনতা কোনো ব্যক্তির সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের আবাসিক প্রতিনিধি শিনজি কুবো এবং সিনিয়র প্রটেকশন অফিসার খালেদ ফানসা বক্তৃতা করেন।
এছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ সম্ভু এবং মো. ইসরাফিল আলম এমপি অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয়তা, বিশ্ব মানবাধিকার, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রহীন মানুষের অবস্থা, দুর্দশা এবং বিশ্ব মানুষের সংহতি ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে স্পিকার জাতীয়তা এবং রাষ্ট্রহীনতা শীর্ষক পুস্তকের মোড়ক উন্মোচন করেন।
এইচএস/আরএস/জেআইএম