ভারত সীমান্তের সমস্যা সমাধানে আগ্রহী চীন


প্রকাশিত: ০৬:২৪ এএম, ২৪ মার্চ ২০১৫

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে সমস্যা সমাধানে আগ্রহী চীন। আলোচনার মধ্য দিয়ে সঠিক রাস্তা খুঁজে বের করতে মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনায় বসছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল।

প্রসঙ্গত, ৩ হাজার ৫০০ কিমি সীমান্ত নিয়েই ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধে লিপ্ত হয়। শুধুই কাশ্মীরের লাদাখ এলাকার বরাবড় সীমান্ত নয়, চীন সে সময় দাবি করেছিল যে, অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছুটা প্রায় ৯০ হাজার বর্গ কিলোমিটার ভারত নিজেদের দখলে রেখেছে। এই অলাকাটিকে চিন দক্ষিণ তিব্বত বলে থাকে এবং আন্তর্জাতিক মানচিত্রে প্রায়শই নিজেদের এলাকা বলে প্রতিস্থাপিত করে।

অন্যদিকে, ভারতও দাবি করে, আকসাই চীন মালভূমির উপর তার অধিকাংশ অঞ্চল প্রায় ৩৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার চীন দখলে রেখেছে। মোদী-জিংপিংয়ের সাক্ষাতের পূর্বে সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের একটা পথ আজ খুলতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

অন্যদিকে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিসাধনে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরের পথে ভারত ও চীন। বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সংক্রান্ত ক্ষেত্রে গতি সঞ্চারের লক্ষ্যেই এই চুক্তিগুলি রূপায়ণ করা হবে। আগামী মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চীন সফরের সময়ই দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলি সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।

সোমবার থেকে দিল্লিতে শুরু হয়েছে ইন্দো-চীন সীমান্ত আলোচনা। যার মূল লক্ষ্য ল্যাকের পুনর্বিন্যাস ও সেই সংক্রান্ত সমাধান। বৈঠকের পরই সম্ভাব্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলি সাধনের কথা জানিয়েছেন, ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত লে ইউচেং।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সঙ্গে হওয়া দ্বিপাক্ষিক চুক্তির সঙ্গে অনেকাংশে মিল থাকবে ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির। অন্যদিকে, আজ প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে চিনের প্রনিনিধি দলের সদস্যদের।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের ভারতের সফরের সময় সাংহাইয়ের আদলে মুম্বই ও গুয়ানঝাউয়ের আদলে আহমেদাবাদকে গড়ে তোলার চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল।

বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।