বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বিশেষ বিধান বাতিলের দাবি


প্রকাশিত: ০১:১৮ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭

বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে বিশেষ বিধান বাতিলের দাবি জানিয়েছে (৬৯টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্লাটফরম) সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি।

বুধবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বিশেষ বিধান বাতিলের দাবিতে’ আয়োজিত সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তার বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৬’ শীর্ষক বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন হয়েছে। প্রায় ৯০ বছরের পুরনো আইনটি যুগোপযোগী করার উদ্যোগকে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়। তবে এ আইনের ১৯ ধারায় একটি বিশেষ বিধান যোগ করা হয়েছে, যা আইনের প্রগতিশীল বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
 
এ বিধান বলে বিশেষ প্রেক্ষাপটে ‘সর্বোত্তম স্বার্থে’ আদালতের নির্দেশে এবং মা-বাবার সম্মতিতে যে কোন অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ে হতে পারবে। এ  বিশেষ বিধান রেখে আইনটি পাস করা হলে তা শিশু অধিকার আইন ও আন্তর্জাতিক সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে। কারণ জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সনদ (সিআরসি) ও দেশের প্রচলিত শিশু আইনে বয়স ১৮ বছরের কম হলে তাকে শিশু বলা হয়।

সমাবেশে দেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, রাষ্ট্রে চালকের ভূমিকা থেকে শুরু করে গোটা দেশকে অগ্রসর করার ক্ষেত্রে নারীরা ভূমিকা রাখেছে।  কাজেই রাষ্ট্র, সরকার বিশেষ বিধান রেখে নারীর বিয়ের বয়স ১৮ রাখার কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।  নারী আন্দোলন মনে করে আন্তর্জাতিক যে নীতিগুলো আইনে আছে সেখানে কোন ধরনের শর্ত, বিধান নেই।

সভায় (৬৯টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্লাটফরম) এর বাইরেও চাইল্ড রাইটস অ্যাডভোকিসি কোয়ালিশন, গার্লস নট ব্রাইডস বাংলাদেশ, সিটিজেন ইনিসিয়েটিভস অন ডমেস্টিক ভায়োলেন্স এবং উই ক্যাম্পেইন এই অ্যালায়েন্স সমূহ অংশ নেয়।

সমাবেশে সভপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আয়শা খানম। সভায় প্রস্তাবিত বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৬-এর বিশেষ বিধান বাতিলের দাবিতে প্রস্তাব পাঠ করেন উইক্যান ক্যাম্পেইনের ন্যাশনাল কো অর্ডিনেটর জিনাত আরা হক। সভাটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের ম্যানেজার কমিউনিকেশন চিররঞ্জন সরকার।

এএস/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।