সালাহ উদ্দিনকে না পেলে কঠিন পরিণতি : খালেদা জিয়া


প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৫

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিখোঁজ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে তুলে নিয়ে গেছে উল্লেখ করে অনতিবিলম্বে তাকে (সালাহ উদ্দিন) ফিরিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে সরকারকে ‘কঠিন পরিণতির’ মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

রোববার চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খানের স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া এ হুঁশিয়ারি দেন।

বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ উৎকণ্ঠার বিষয়টাও সরকারের মনে রাখা উচিত।

তিনি আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সালাহউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাবার আগে-পরে স্থানীয় তরুণ ও নিরাপত্তা কর্মী এবং বাসার দারোয়ানের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। তাদের পরিচালিত অভিযানের অনেক প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছে। কাজেই তাকে গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করে দায় এড়াবার কোনো সুযোগ নেই।

খালেদা জিয়া বলেন, সালাহউদ্দিন আহমেদের মত একজন রাজনীতিবিদ এভাবে উধাও হয়ে যাবে আর ক্ষমতাসীনরা সেটা নিয়ে উৎকট রসিকতা করে পার পেয়ে যাবে, এমন মনে করার কোনো কারণ নেই।

সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, দেশে এখন কেউ-ই নিরাপদ নয়। যে কেউ, যে কোন সময় গুম কিংবা খুন হয়ে যেতে পারেন।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, সালাহ উদ্দিনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ১২ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এখনো তাকে মুক্তি দেওয়া বা আদালতে হাজির করা হয়নি। এমনকি তাকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার পর্যন্ত করা হচ্ছে না। এতে উৎকণ্ঠা সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ করেন, বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের নিখোঁজ ও গুম করে ফেলা আওয়ামী সরকারের আমলে এক নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গ্রেফতারের কথা অস্বীকারের পর বিভিন্ন জায়গায় নেতা-কর্মীদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনাও প্রায়ই ঘটছে।

আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।