শান্তি সূচকে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ০৬:৫০ এএম, ১৬ আগস্ট ২০১৪

‘বৈশ্বিক শান্তি সূচক’ অনুযায়ী প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। অষ্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইকনোমিকস অ্যান্ড পিসের ২০১৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী বৈশ্বিক শান্তি সূচকে ১৬২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৮তম। বাংলাদেশের এ অবস্থান ‘মধ্যম’ পর্যায়ের বলে সংস্থাটির মূল্যায়নে বলা হয়েছে।

তবে সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ নেপাল ও ভুটান এগিয়ে রয়েছে। সূচকে ১৪৩তম অবস্থানে রয়েছে ভারত। আর ১৫৪তম অবস্থানে থাকা পাকিস্তান শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিক থেকে খুবই খারাপ অবস্থায় বলে এতে বলা হয়েছে।

সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। সেখানে ভুটান ও নেপাল যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তালিকায় ভুটানের  অবস্থান ১৬তম, আর নেপাল ৭৬তম।

বৈশ্বিক শান্তিতে আইসল্যান্ড প্রথম। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডেনমার্ক ও অস্ট্রিয়া।

সূচক অনুযায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতায় প্রথম দিকের অন্য দেশগুলো হলো- নিউ জিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, কানাডা, জাপান, বেলজিয়াম ও নরওয়ে।

এশিয়ার মধ্যে জাপানই সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল দেশ হিসেবে ইনস্টিটিউট ফর ইকনোমিকস অ্যান্ড পিসের তৈরি করা তালিকায় স্থান পেয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আফগানিস্তানে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির অবস্থান ১৬১তম, যার পরেই রয়েছে সূচক অনুযায়ী সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির দেশ সিরিয়া।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে তিন বছরের গৃহযুদ্ধে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু ও কয়েক মিলিয়ন মানুষ গৃহহারা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শরণার্থীও বর্তমানে সিরিয়ার।

বৈশ্বিক শান্তি সূচক নির্ণয়ে ২০১৩ সালের উপাত্ত ব্যবহার করা হয় বলে ইনস্টিটিউট ফর ইকনোমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) জানিয়েছে।

সমাজে বিদ্যমান সহিংসতা, হত্যা, বেসামরিক নাগরিকের হাতে অস্ত্র, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাত, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ ২২টি বিষয় মূল্যায়ন করে ওই সূচক নির্ণয় করা হয়।

এক্ষেত্রে সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের দ্বন্দ্বের সঙ্গে সম্পৃক্তি এবং সন্ত্রাসী তৎপরতাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।