অভিজিত হত্যাকাণ্ড জড়িতদের বের করা বড় চ্যালেঞ্জ


প্রকাশিত: ০৯:০২ এএম, ২২ মার্চ ২০১৫

ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম বলেছেন, লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিত রায় হত্যাকাণ্ড একটি ক্লুলেস ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শিরা কেউ এব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে না। এ কারণে খুনীদের খুঁজে বের করা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

 রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।তিনি বলেন, প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে ফারাবিকে আটক করা হলেও অভিজিত হত্যাকান্ডের ঘটনায় তিনি সরাসর জড়িত নন। ফারাবির হুমকির আড়ালে অন্য কেউ এঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।

তিনি বলেন, ফারাবিকে দুই দফায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে দেয়া ফারাবির তথ্য গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, অভিজিত হত্যাকাণ্ডটি ক্লুলেস হওয়ায় এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে।

ঘটনাটি জনসম্মুখে ঘটায় সেটি কিভাবে ক্লুলেস হয় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনাটি সবার সামনে ঘটেছে ঠিক আছে। কিন্তু কেউ এব্যাপারে কোন তথ্য দিচ্ছেনা। ঘটনার সময় ক’জন ছিল, তারা দেখতে কেমন কেউ কোন তথ্য দিতে পারেনি তাই এটি ক্লুলেস ঘটনা।

তবে তিনি বলেন, তদন্ত কাজ অনেকদূর এগিয়ে নিয়েছে। অনেক তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলি যাচাই বাছাই চলছে।
 
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক নয়টার দিকে ‘মুক্তমনা’ ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ব্লগার ও লেখক প্রকৌশলী ড. অভিজিত রায় ও তার স্ত্রী ব্লগার রাফিদা আহমেদ বন্যাকে টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তিন নং গেটের সামনে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহতবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর রাত সোয়া ১০টার দিকে মারা যান অভিজিত। আমেরিকা যাওয়ার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত রাফিদা ঢামেক থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ব্লগার ও লেখক অভিজিত খুনের পর থেকেই দেশের সাধারণ জনগনসহ আর্ন্তজাতিক মহল এর নিন্দা ও উদ্বেগ জানায়। অভিজিৎ নিহতের ঘটনায় গণমাধ্যমে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা হয়।

জেইউ/এসএইচএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।