প্রিজন ভ্যানে নূর হোসেনের কাণ্ড


প্রকাশিত: ০৮:০২ এএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেন। আদালতে স্বাভাবিকভাবে ঢুকলেও রায় শোনার পর থেকে কিছুটা বিমর্ষ ছিলেন তিনি।
 
সোমবার রায় ঘোষণা শেষে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ নেয়ার জন্য একটি প্রিজনভ্যানে তোলা হয় নূর হোসেনকে। সেই ভ্যানে নূর হোসেন একাই ছিলেন। তবে ভ্যানে তোলার পর দীর্ঘক্ষণ নূর হোসেনসহ অন্যান্য আসামিদের রাখা হয় নারায়ণগঞ্জের আদালতে।
 
প্রিজনভ্যানে তোলার পরপরই বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা নূর হোসেনের ছবি তুলতে থাকেন এবং তাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে থাকেন।
 
এ সময় এক সাংবাদিক একাধিকবার প্রশ্ন করেন, ‘নূর ভাই আপনাকে কেউ ব্যবহার করেছে কি না? নূর ভাই কথা বলেন।’
 
সাংবাদিকদের প্রশ্নের পরপরই প্রিজন ভ্যান থেকে উঠে দাঁড়ান নূর হোসেন। বাইরে থেকে এক পুলিশ সদস্যকে ডাকতে থাকেন। দুজন পুলিশ সদস্য এলে নূর হোসেন তাদের সামনে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন। পরে ওই দুই পুলিশ সদস্য নূর হোসেনকে প্রিজন ভ্যানের এক কোণে দাঁড় করিয়ে দুদিক থেকে ঢেকে রাখেন।
 
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের খান সাহেব ওসমানী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন।

পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। অপর মামলার বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।

দুটি মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

সোমবার সকালে বহুল আলোচিত এই সাত খুন মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক সিও তারেক সাঈদসহ ২৬ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেয়া হয়েছে।
 
এআর/জেইউ/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।