সাত খুন : কার কী সাজা


প্রকাশিত: ০৬:০৩ এএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলায় নূর হোসেনসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাকি ৯ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। এসময় দুই মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে ২৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন
নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্সনায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহী আবু তৈয়্যব।

কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, র‌্যাবের সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা, সিপাহী সাদুজ্জামান নূর, নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু।

রহম আলী, আবুল বাশার, নূর হোসেনের সহযোগী ভারতে গ্রেফতার সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান, জামাল উদ্দিন, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আলামিন শরীফ, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সার্জেন্ট এনামুল কবির।

এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন
ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন (১০ বছর), এএসআই বজলুর রহমান (৭ বছর), হাবিলদার নাসির উদ্দিন (৭ বছর), এএসআই আবুল কালাম আজাদ (১০ বছর), সিপাহী নুরুজ্জামান (১০ বছর), বাবুল হাসান (১০ বছর), র‌্যাবের সদস্য কর্পোরাল মোখলছুর রহমান (১০ বছর) এএসআই কামাল হোসেন (১০ বছর) ও কনস্টেবল হাবিবুর রহমান (১৭ বছর)

গত বছরের ৩০ নভেম্বর (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে গ্রেফতারকৃত চাকরিচ্যুত র‌্যাব কর্মকর্তা এম এম রানার অসমাপ্ত যুক্তিতর্ক এবং এসআই বজলুর রহমান ও আসাদুজ্জামানের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়।

সেসময় সাত খুনের দুটি মামলায় গ্রেফতারকৃত ২৩ ও পলাতক ১২ আসামির সবার যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার পর আদালত ১৬ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের খান সাহেব ওসমানী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন।

পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। অপর মামলার বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।

দুটি মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নূর  হোসেন, র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এতে দুটি মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ১২৭ জন করে। মামলায় গ্রেফতার রয়েছেন ২৩ জন। আর পলাতক রয়েছেন ১২ জন।

এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।