কাঠগড়ায় ২৩ আসামি, রায় পড়া শুরু
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার রায় পড়া শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন রায় পড়া শুরু করেন। ৩৫ আসামির মধ্যে ২৩ জন আদালতে আছেন।
সাত খুনের মামলার প্রধান চার আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১১-এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট (চাকরিচ্যুত) কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, চাকরিচ্যুত কমান্ডার এম এম রানা ও চাকরিচ্যুত মেজর আরিফসহ মোট ২৩ জন আদালতে উপস্থিত আছেন।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিচার কাজের আইনি কার্যক্রম শেষ হয় গত ৩০ নভেম্বর। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল অপহরণের পর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল চার্জশিট, ওই বছরের ১২ নভেম্বর ভারত থেকে নূর হোসেনকে দেশে আনা, আদালতে সাক্ষীদের চোখ রাঙানি, বাদী পক্ষকে হুমকি, অন্যতম আসামি র্যাবের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা তারেক সাঈদের অসুস্থতার নাটকে হাসপাতালে ভর্তি, কাঠগড়ার ভেতরে নূর হোসেনের মারামারিসহ অনেক নাটকীয়তাও হয়েছে মামলা চলাকালে।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজন অপহরণ হওয়ার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর ত্রিমোহনায় বন্দর শান্তিরচর এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় প্রত্যেকের বিভৎস মরদেহ উদ্ধারের পর উত্তপ্ত হয়ে উঠে নারায়ণগঞ্জ।
ওই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একজন প্রবীণ আইনজীবী চন্দন সরকার নিহত হওয়ায় রাজপথ থেকে আদালত প্রাঙ্গণ পর্যন্ত আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমে আসেন। এমনকি আইনজীবীরা নারায়ণগঞ্জে নজিরবিহীন হরতাল পালন করেন।
অপরদিকে অপহরণ আর সাতজন খুনের নেপথ্যে তৎকালীন সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিদ্ধিরগঞ্জের ডন নূর হোসেন, র্যাব-১১’র সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদসহ র্যাবের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার তথ্য ফাঁস হওয়ার পর বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টি চলে আসে নারায়ণগঞ্জের দিকে।
এআর/জেইউ/এআরএস/এমএস