আইএসের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ
ইরাকে সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ওপর সম্ভবত গণহত্যা চালিয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। একই সঙ্গে সেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধও সংগঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসি।
প্রতিবেদনে অপরাধীদের বিচারের জন্য বিষয়টি আর্ন্তজাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) জানাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত বছর ইরাকের সিনজার শহর দখল করে আইএস যোদ্ধারা। শহরটিতে সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের বসবাস ছিল। আইএসের দখলের পর হাজার হাজার বাসিন্দা শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। ওই সময় অভিযোগ ওঠে আইএস ইয়াজিদিদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। একই সঙ্গে এদের অনেককে বন্দী ও অনেক নারীকে যৌনদাসী করে রাখার অভিযোগও ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর সেপ্টেম্বরে তদন্ত কমিটি গঠন করে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়াজিদি সম্প্রদায়কে নিশ্চিহৃ করার ইচ্ছা ছিল আইএসের। তদন্ত দল আইএসের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধে তথ্য পেয়েছে।
এছাড়া ইরাকি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধঘোষিত রাসায়নিক অস্ত্র ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘের তদন্ত দল।
মসুলে আইএস তাদের শরীয়াহ আদালতে দখলকৃত এলাকার বাসিন্দাদের কঠিন ও নির্মম শাস্তি দিচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়। এতে বলা হয়, ফুটবল খেলা দেখার অপরাধে ১৩ কিশোরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মসুলে আইএসের শরীয়াহ আদালত।
এএইচ/আরআইপি