জাতীয় শোক দিবস আজ
১৫ আগস্ট। আজ জাতীয় শোক দিবস। নিকষ কালো অন্ধকারের দিন। ৩৮ বছর আগে এ দিনে ঘাতকদের বুলেটে নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যরা। প্রতি বছর আগস্টে এ দিনটি আসে বাঙালির হৃদয়ে শোক আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে।
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এ দিনে প্রাণ হারান তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, ছেলের বউ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব কর্নেল জামিল।
এ ছাড়া ঘাতকদের বুলেটে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, বেবী সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে।
সে দিন দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। শেখ হাসিনা স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে জার্মানির কার্লসরুইয়ে সন্তানসহ অবস্থান করছিলেন। শেখ রেহানাও ছিলেন বড় বোনের সঙ্গে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে কতিপয় সেনাসদস্য রাতের অন্ধকারে হামলা চালায়। সে দিন রক্তগঙ্গা বয়ে যায় পুরো বাড়িতে। গুলির আঘাতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় বাড়ির দেওয়াল। ছোপ ছোপ রক্তের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে ঘরের জিনিসপত্র।
প্রথম তলার সিঁড়ির মাঝখানে নিথর পড়ে ছিলেন চেক লুঙ্গি ও সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার তলপেট ও বুকে ছিল বুলেটের ঝাঁঝরা। নিথর দেহের পাশেই পড়ে ছিল ভাঙা চশমা। অভ্যর্থনা কক্ষে শেখ কামাল, টেলিফোন অপারেটর আ ফ ম মুহিতুল ইসলাম, মূল বেডরুমের সামনে বেগম মুজিব, বেডরুমে সুলতানা কামাল, শেখ জামাল, রোজী জামাল, নিচতলার সিঁড়িসংলগ্ন বাথরুমে শেখ নাসের এবং মূল বেডরুমে দুই ভাবীর মাঝখানে বুলেটে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল ছোট শিশু শেখ রাসেলের লাশ।
জাতীয় শোক দিবসে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।