উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসনের দাবি হকারদের


প্রকাশিত: ০৬:৪৩ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

রাজধানী ঢাকার হকারদের আগে পুনর্বাসন করে পরে উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন হকার্স নেতারা। তারা বলছেন, সিটি কর্পোরেশন মাঝে-মধ্যে অভিযান চালিয়ে হকারদের উচ্ছেদ করে। কিন্তু তারা তো গরিব কোথায় যাবে? তাদের আগে পুনর্বাসন করেন, পরে উচ্ছেদ।
 
বুধবার সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত হকার্স পুনর্বাসন ও হলিডে মার্কেট চালু প্রসঙ্গে হকারদের সঙ্গে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের এক মতবিনিময় সভায় তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে হকার নেতারা বলেন, সরকার বা সিটি কর্পোরেশন সাপ্তাহে একদিন নির্দিষ্ট পাঁচটি স্থানে হলিডে মার্কেট চালু করেছে। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক। কিন্তু অামরা সাপ্তাহের বাকি ছয়টি দিন কী করবো? কী খাবো? হকারদের তো পরিবার রয়েছে। এজন্য তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে। পুনর্বাসন করে বাকি পদক্ষেপ নিন।

বাংলাদেশ জাতীয় হকার্স লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরে ৮ থেকে ৯ লাখ হকার রয়েছে। দক্ষিণে ৫ থেকে ৬ লাখ হকার আছে। এখানে সবাই গরিব, নিরীহ। এদের সামান্য আয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই রাস্তায় কোনো হকার থাকবে না। কিন্তু রাস্তার ওপরে যে জায়গাটা আছে সেখানে কিছু স্থান দিতে হবে। কার্ডের মাধ্যমে হকার চিহ্নিত করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ হকারা একটা স্থান নিতে হয় এক লাখ, দুই লাখ টাকায়। এরা কারা। এদের চিহ্নিত করেন। হকার উচ্ছেদ করা যাবে না। এরা কোথায় যাবে? এরা মা-বাবা-ছেলে নিয়ে ঢাকায় থাকে।’

বাংলাদেশ ছিন্নমূল হকার্স লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন মজুমদার বলেন, ‘হকার পুর্বাসন একটা বিরাট কঠিন কাজ। আমরা বলেছি- ঢাকাকে তিলোত্তমা শহর বানাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। রাস্তা দখলের জন্য হকাররা দায়ী নয়। এজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি দিতে হবে। আগে হকার পুর্বাসন করেন। এরপর উচ্ছেদ।’

জাতীয় হকার্স ফেড়ারেশনের সভাপতি আরীফ চৌধুরী বলেন, হকারদের পুর্বাসন করতে হবে। হলিডে মার্কেট নিয়ে হকাসদের মধ্যে একটা অসন্তোষ দেখা দিয়েছি। হকাররা হলিডে মার্কেটে গেলে ফুটপাতে বসতে পারবে কিনা?

তিনি বলেন, হকারদের পরিকল্পনামাপিক বসাতে হবে। হিলেড মার্কেটগুলো অন্যান্য ফুটপাতের মধ্যে চলে আসে কিনা?

বাংলাদেশ হকার্স ফেড়ারেশনের সভাপতি এমএ কাশেম বলেন, ‘প্রতিটি ফুটপাতে একজন করে লাইনম্যান চাঁদাবাজ থাকেন। একটা ফুটপাতে ১০০ জন থাকলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করেন একজন লাইনম্যান নামধারী চাঁদাবাজ। এই লাইনম্যানকে নিয়ন্ত্রণ করেন কথিত প্রশাসনের লোক। এই লাইনম্যানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি জানান, হকার ট্রাফিক পুলিশ গঠন করতে হবে। তাকে কার্ড দিতে হবে। তারা সিটি কর্পোরেশন থেকে কার্ড নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বসবে। এজন্য একটা আইন করতে হবে। যদি আইন তৈরি করা না যায় তাহলে দিনদিন হকার বাড়বে।

এমএসএস/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।